Purple Day 2022: আজ পার্পল ডে, চলছে মৃগীরোগ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার
প্রতি বছরের ২৬ মার্চ দিনটি পালিত হয় পার্পল ডে হিসেবে। এই দিনে মৃগীরোগ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। এই রোগ নিয়ে মানুষের আতঙ্ক ও ভুল ধারণা দূর করার চেষ্টা করা হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ মৃগীরোগে আক্রান্ত হন। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজন এই রোগে ভুগছেন। কিন্তু ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কী কারণে মৃগীরোগ হয়, সেটা অজ্ঞাত থেকে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, মৃগীরোগ যদি ঠিক সময়ে ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা শুরু হয়, তাহলে এই রোগ সারানো সম্ভব। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৮ সাল থেকে পার্পল ডে পালন করার উদ্যোগ শুরু হয়। মৃগীরোগে আক্রান্ত হওয়া ক্যাসিডি মেগান এই দিনটি পালন করার উদ্যোগ নেন। তাঁর এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় দ্য এপিলেপসি অ্যাসসোসিয়েশন অফ দ্য মেরিটাইমস।
২০০৯ থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে পার্পল ডে। ক্যাসিডি মেগান, দ্য এপিলেপসি অ্যাসসোসিয়েশন অফ দ্য মেরিটাইমস ও দ্য অনিতা কাফম্যান ফাউন্ডেশন এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্যোক্তা।
চিকিৎসকরা বলছেন, মৃগীরোগ অনেকের মধ্যেই দেখা গেলেও, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা নেই। এ বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণাও হচ্ছে না। সেই কারণে পার্পল ডে গুরুত্বপূর্ণ।
মৃগীরোগ সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে নানা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেক সময়ই মৃগী রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেই কারণে এই রোগ সারানো কঠিন হয়ে যায়। তাই সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ রোগীদের চেয়ে মৃগী আক্রান্তদের অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা তিনগুণ বেশি। সেই কারণে এই রোগের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মৃগীরোগ অবহেলা করা চলবে না।
অনেকেই মৃগীরোগকে মানসিক সমস্যা বলে মনে করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, মৃগীরোগ শুধু শারীরিক সমস্যা। এই রোগ সংক্রামকও নয়।
এখনও পর্যন্ত মৃগীরোগ পুরোপুরি সারানোর কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারেননি গবেষকরা। ওষুধের মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -