Health News: হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক? সিপিআর-এর সাহায্য কমবে প্রাণসংশয়
বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বর্তমানে সময়ে যে কয়েকটি রোগ মারাত্মক প্রাণঘাতী হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল হৃদরোগ। হার্ট অ্যাটাক থেকে হৃদযন্ত্র স্তব্ধ (cardiac arrest) হয়ে যাওয়া বিভিন্ন কারণে প্রাণসংশয় হয় অনেকেরই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকখনও অফিসে কাজ করতে করতে, কখনও বাড়িতেই অবসর সময়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। অনেকসময় ঘুমের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সুযোগ থাকলে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকেও বাঁচার চেষ্টা করা যায়। তবে তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। এবং হাতেকলমে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু পদক্ষেপ।
কী ভাবে চেনা যাবে হার্ট অ্যাটাকের মুহূর্ত? একাধিক উপসর্গ রয়েছে এই রোগের। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে। শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া বা জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। হঠাৎ চোখে অন্ধকার দেখার মতো অভিজ্ঞতা হতে পারে। হার্ট অ্য়াটাক হলে বুকের মাঝখান, কোনও একপাশে, ঘাড়ে, পিঠে যন্ত্রণা হয়। হাত বা কাঁধে যন্ত্রণা হয়, চোয়ালেও যন্ত্রণা হতে পারে। এগুলো সবই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষ্মণ।
বাড়িতে বা অফিসে এমন কারও হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তার আগের সময়টুকু অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময়ে ঠিকমতো প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব হলে অনেকক্ষেত্রেই প্রাণসংশয় বা বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়।
এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিপিআর বা cardiopulmonary resuscitation. হৃদরোগ আক্রান্ত ব্যক্তির উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে, উপকার মিলবে। কিন্তু কীভাবে করতে হয় এটি?
রোগীকে প্রথমে মাটিতে বা বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে। রোগীর জ্ঞান আছে কিনা, পালস পাওয়া যাচ্ছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তারপর দুটি হাতের আঙুল একে অপরের সঙ্গে লক করে এমন রাখতে হবে যাতে একটি হাতের উপর আরেকটি হাত থাকে, হাতের নীচের দিতে তালু থাকে।
এবার ওই ভাবে দুই হাত দিয়ে এক সঙ্গে পাজরের ঠিক নীচে বুকের মাঝবরাবর পাম্প করার মতো করে একইরকম লয়ে জোরে চাপ দিয়ে যেতে হবে। এটা করার সময় কনুই ভাঙবে না। এমন ভাবে চাপ দিতে হবে যাতে প্রতিবার চাপার সময় বুকের ওই জায়গা বেশ কিছুটা নেমে যায়। তারপরেও স্বাভাবিক না হলে রোগীর মুখ খুলে শ্বাস (mouth to mouth) দিতে হবে।
সিপিআর-এর গোটা প্রক্রিয়া ডাক্তারের কাছে না যাওয়া পর্য়ন্ত চালানো যেতে পারে। হৃৎযন্ত্র কাজ না করলেও এর মাধ্যমে শরীরে রক্ত সংবহন মোটামুটি চালু রাখা যায়। সিপিআর পদ্ধতি কোনও চিকিৎসকের কাছ থেকে হাতেকলমে শিখে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -