Lifestyle:ব্রেক আপের পর থেকেই খিটখিটে মেজাজ ? Grief লুকোতে রাগ নয়তো?
সচরাচর হত না, কিন্তু কদিন আগে যা যা ঘটে গেল তার পর থেকে মেজাজ প্রায়ই খিঁচড়ে থাকছে? সামান্য কিছু অপ্রত্যাশিত মনে হলেই কি রেগে যাচ্ছেন? ঘরে-বাইরে প্রত্য়েকে কি বার বার এ জন্য সতর্কও করছেন? একটু ভেবে দেখুন তো, এটি রাগই তো?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজীবন মানে চড়াই-উতরাই থাকবেই। তাতে 'শোকের' অনুভূতিও স্বাভাবিক। কিন্তু বহু সময়ে আমরা অনেকে 'শোক'-কে আড়াল করতে রাগের আশ্রয় নিয়ে ফেলি, মনে করাচ্ছেন মনোবিশেষজ্ঞরা। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। (ছবি:PIXABAY)
ঘনিষ্ঠ কারও মৃত্যু যেমন 'শোকের' কারণ, ঠিক তেমনই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ইতি, হঠাৎ চাকরি খোয়ানোর মতো ঘটনাও এই ধরনের অনুভূতি উদ্রেক করতে পারে। তাই এই ধরনের কোনও অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে থাকলে হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও হয়তো মনের গভীরে শোকার্ত।
এর পরের ধাপের জন্য প্রথমেই যেটি জরুরি তা হল 'শোকের' কারণটি মেনে নেওয়া। সহজ নয় একেবারেই। প্রয়োজনে মনোবিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সঙ্গে এটিও বুঝে নিতে পারলে সুবিধা হতে পারে যে শোকের যে যন্ত্রণা, তা কম-বেশি সর্বজনীন। একই সঙ্গে, নির্দিষ্ট মেয়াদের পর তার তীব্রতাও কমে আসে। তবে যতক্ষণ তা না কমছে, কথা বলুন। অনুভূতির কথা লিখেও ফেলা যেতে পারে। আর যখন রাগ হচ্ছে, সেই সময়ে আরও বেশি করে নিজেকে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতে পারলে ভাল। একদিনে কোনওটিই হওয়া কঠিন। তবে চেষ্টা করলে অবশ্যই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। (ছবি:PIXABAY)
আসলে শোকের অনুভূতি কারও কারও ক্ষেত্রে ভারবহ হতে পারে। তাই সে যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে রাগের 'আশ্রয়' নেন কেউ কেউ। রাগ অত্যন্ত শক্তিশালী আবেগ। সাময়িক ভাবে হলেও এতে শোকের যন্ত্রণা এড়ানো যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লাভ কতটা?
আংশিক সুরাহা ছাড়া এতে কিছুই হাতে থাকে না। এখন প্রশ্ন হল, কী ভাবে বুঝবেন যে শোককে আড়াল করতে রাগের আশ্রয় নিতে হচ্ছে কিনা? (ছবি:PIXABAY)
মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, উদ্বেগ, মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা, প্রত্যেক দিনের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় যে জৈবিক চাহিদা তা প্রায় অনুভবই না করা, সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হওয়া, কোনও ধরনের আসক্তির দিকে ঝোঁক ইত্যাদির মতো আচরণ যদি বাড়তে থাকে, তা হলেই সতর্ক হওয়া দরকার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -