Health Tips: সুগন্ধী মাজন নয়, সর্ষের তেল আর লবণেই জব্দ হবে ব্যাকটিরিয়া, দাঁত ও মাড়ির আদর্শ দাওয়াই
প্রাণ ধারণের জন্য অক্সিজেন যেমন জরুরি, দাঁত ভাল রাখতে তেমনই জরুরি এনামেল। দাঁতের উপর যে সাদা প্রলেপ থাকে, তাকেই বলে এনামেল। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এই এনামেল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appখাবার চিবনোর সময় বা অন্য কোনও কারণে ঘর্ষণ হলে এনামেল দাঁতকে রক্ষা করে। কিন্তু এনামেলের ক্ষয় শুরু হলে দাঁত ভাল রাখা যায় না কোনও ভাবেই, লম্বা-চওড়া দাবি করলেও, বাজারে প্রাপ্ত কোনও মাজন, মাউথওয়াশই দাঁতকে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারে না।
তাই এনামেলের ক্ষয় হলে মুখে হাজারো সমস্যা দেখা দেয়। দুর্গন্ধ বের হয় মুখ থেকে, দাঁত ক্ষয়ে যায়, পাইরিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা যেতে পারে।
দাঁত এবং মাড়ি ভাল রাখার অন্যতম ঘরোয়া টোটকা হল সর্ষের তেল এবং লবণ। গ্রামের দিকে আজও এই পন্থা অবলম্বন করেন অনেকে। জ্বরের মুখে লবণ এবং সর্ষের তেল দিয়ে দাঁত মাজার চল রয়েছে সেখানে। শহুরে জীবনেও তা সমান কার্যকর।
দাঁত, মাড়ির সমস্যার মূল কারণগুলি হল অতিরিক্ত মিষ্টি, প্রসেসড খাবার খাওয়া। দাঁতমাজায় গড়িমসি, ভাল করে মুখ পরিষ্কার না করা, তামাকসেবন এবং অত্যধিক ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় মুখে ঢালার অভ্যাস।
এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে সর্ষের তেল এবং লবণ। সর্ষের তেল এবং লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি পরিষ্কার থাকে, দাঁতে আটকে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থ বেরিয়ে যায়। লবণ দাঁতের ছোপ তুলতে সক্ষম, ফলে উজ্জ্বল হয় দাঁত।
লবণে প্রাকৃতিক ফ্লুওরাইড থাকে, যা দাঁত এবং মাড়ির জন্য উপকারী। সর্ষের তেল মাড়ির গঠন মজবুত করে। ব্যাকটিরিয়া নির্মূল করে এবং লবণ ও সর্ষের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁত মাজলে জ্বালা, রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়।
এক্ষেত্রে সৈন্ধব লবণও ব্যবহার করতে পারেন। একচিমটে লবণের সঙ্গে সর্ষের তেল মিশিয়ে নিন সম পরিমাণ মতো। হলুদও মেশাতে পারেন। এবার আঙুলে তুলে দাঁতে, বাড়িতে ঘষুন।
এভাবে তিন মিনিট ধরে সর্ষের তেল এবং লবণের মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজুন। উষ্ণ গরম জলে ভাল করে কুলকুচি করুন। মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তবে আগে থেকে দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা থাকলে, আপনা থেকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে যাবেন না। আগে দন্ত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর পরামর্শ নিন। তিনি যেমন বলবেন, সেভাবেই এগোন। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -