Silver Utensils: ঐশ্বর্য ও আভিজাত্যের প্রতীক নয় শুধু, রুপোর বাসনে খাওয়া উপকারী স্বাস্থ্যের জন্যও
অন্নপ্রাশনে শিশুকে রুপোর বাসনে খাওয়ানোর চল রয়েছে। একসময় রাজা-মহারাজারাও রুপোর থালা, বাটিতেই আহার সারতেন। এর সঙ্গে সৌভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার মনে করেন, রুপোর থালা-বাটিতে আহার আসলে আভিজাত্যের পরিচয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএ নিয়ে নানা জনের নানা বিশ্বাস থাকতেই পারে, কিন্তু রুপোর থালা-বাটিতে আহার অন্য কারণেও ফলদায়ী। কারণ রুপোর থালা-বাটিতে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারীও।
প্রাচীন কাল থেকেই রুপোর থালা-বাটিতে খাওয়ার চল ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, একে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও, আসলে সুস্থতার জন্যই যুগ যুগ ধরে রুপোর বাসনের ব্যবহার দেখা গিয়েছে।
রুপোর থালা-বাটিতে খেলে দীর্ঘমেয়াদি উপকার মেলে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কেন, কী বৃত্তান্ত, তা জেনে নিন বিশদে।
থালায় খাবার ঢালা মাত্র তা পেটে চালান করে দিতে পারি না আমরা। বরং একটু একটু করেই খাবার যায় পেটে। রুপোর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে খেলেও হাওয়া-বাতাসে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া খাবারে থাবা বসাতে পারে না।
তাই রুপোর থালা-বাটিতে খাবার খেতে খেতে, হঠাৎ যদি কোনও কারণে উঠতেও হয়, ফিরে এসে নির্দ্বিধায় ফের থালায় পড়ে থাকা খাবার খেতে পারেন। তাতে শরীরে কোনও প্রভাব পড়বে না।
ব্যাকটিরিয়ার হাত থেকে শুধু খাবারকে রক্ষা করাই নয়, মানবশরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে রুপোর বাসন। এর ফলে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে রুপোর থালা-বাটি। রুপোর থালায় খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
খাবারকে তরতাজা রাখতেও সহায়ক রুপোর বাসন। খাবার হোক বা পানীয়, রুপোর পাত্রে দীর্ঘ ক্ষণ তরতাজা থাকে। এতে মাইক্রোবস বাড়তে পারে না।
বেশ কিছু ধাতুকে খাবার খাওয়ার কাজে ব্যবহার করি না আমরা। তা থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা থাকে। রুপোর ক্ষেত্রে এমন হওয়া সম্ভব নয়। এতে এমন কোনও উপাদান নেই, যা থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -