Nutrition in older age : ৬০ পেরিয়েছেন? ডায়েটচার্টে এই খাবারগুলি রাখছেন তো?

শিশুদের যেমন নির্দিষ্ট একটা ডায়েটচার্ট ফলো করা দরকার, তেমনটা বয়স্কদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু হয়ত সেটা ভালভাবে হয়ে ওঠে না কিছুটা অবহেলার কারণেই।

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক মিত্র জানাচ্ছেন, এই বয়স থেকে পেশীর ঘনত্ব কমতে থাকে। যাকে বলে সাইকোপেনিয়া। এতে করে কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটা বাড়ে। পেশীর কর্মক্ষমতা কমে যায়। হাড়ের সমস্যা বাড়ে।

দাঁতের সমস্যা ও দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে অনেক বৃদ্ধই সঠিক নিউট্রিশন পান না। কারণ দাঁতের কষ্ট হবে বলে, খাদ্য়তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন তাঁরা অনেককিছুই।

দাঁতের সমস্যা ও দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে অনেক বৃদ্ধই সঠিক নিউট্রিশন পান না। কারণ দাঁতের কষ্ট হবে বলে, খাদ্য়তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন তাঁরা অনেককিছুই।

মাশরুম, বাদামের গুঁড়ো ও নানারকমের ডাল রাখতে হবে ডায়েটে। চিবোনোর ক্ষমতা চলে গেলে বাদাম গুঁড়ো করে মুড়ি, চিঁড়ে বা অন্য খাবার মেশানো যেতে পারে।

শুধু মাছ-মাংস খেলেই প্রোটিন ডিমান্ড মিটবে এমন কিন্তু নয়। পাতে থাকুক পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি।

কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে কিছু ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন ময়দার বদলে আটা চলতে পারে।

ফ্রুট জুসের বদলে খান গোটা ফল। ফল চিবোতে না পারলে গ্রাইন্ড করে পুরোটাই খেতে হবে না ছেঁকে। তবে কী কী ফল একজন বয়স্ক মানুষ খেতে পারবেন, তা জেনে নিতে হবে আগেভাগেই।

প্রোটিন ব্যালান্স করতে বিভিন্ন ধরনের ডাল চলতে পারে। তবে ডাল খাওয়ার অনুমতিও সবার ক্ষেত্রে থাকে না। তাই একবার ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করুন খাদ্য তালিকা।

সয়া থেকে তৈরি নানা প্রোডাক্ট খুবই উপকারী। রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে সয়া তেল।

সেই সঙ্গে দেখে নিতে হবে তাঁর শরীরে আর কিছু সমস্যা আছে কি না। যেমন, প্রেসার, সুগার ইত্যাদি। ডায়েট চার্ট তৈরিকরার সময় মাথায় রাখতে হবে জীবনশৈলির বিষয়টিও।