একাধিক উপকারিতা রয়েছে গ্রিন টিতে, নিয়ম মেনে পান করলেই ম্যাজিক
গ্রিন টি-র পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালোরি তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না। কাজেই ওজন কমাতে চান যাঁরা, তাঁরা নিয়ম মেনে গ্রিন টি খেতে পারেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএক দিনে ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করতে পারে গ্রিন টি।
খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তবে গ্রিন টি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গ্রিণ টি প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। গ্রিন টি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, গ্রিন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। পাশাপাশি, গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনাও অনেকটাই কমে যায়।
দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। কারণ, গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে দেয় না। গলার সংক্রমণ-সহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
নিয়মিত গ্রিন টি খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
ডিপ্রেশন দূর করতে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। চা পাতায় ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে। এই উপাদান অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গ্রিন টি ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ,প্যাচি স্কিন,ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যা এ ছাড়াও খুশকির মত সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে সাহায্য করে গ্রিন টি।
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যখন তখন গ্রিন টি খেলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বা অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলেও একাধিক সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অবশ্যেই গ্রিন টি পানের সময়ে এই দিকগুলো ভুললে চলবে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -