Healthy Hot Beverages: শীতের মরশুমে আপনার সঙ্গী হোক স্বাস্থ্যকর-গরম এই পানীয়গুলি, তালিকায় কী কী রয়েছে?
শীতের দিনে ঠান্ডা লাগার ধাত যাঁদের রয়েছে তাঁদের সমস্যা একটু বেশিই। চট করে সর্দি, কাশি শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে গরম পানীয় আপনাকে আরাম দেবে। তাই কয়েকটি স্বাস্থ্যকর গরম পানীয় এবং তার গুণাবলী জেনে নেওয়া যাক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশীতের মরশুমে বাড়িতে কাওয়া তৈরি করে খেতে পারেন। এর মূল উপকরণ গ্রিন টি এবং মধু। তার সঙ্গে যোগ করবেন কেসর, দারচিনি এবং এলাচ। এইসব মশলার গুণেই আপনার শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে কাওয়া নামের এই পানীয়। বাদামের সঙ্গে এই চা পরিবেশন করতে পারেন।
গরম দুধের মধ্যে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাঁদের খুব অল্পেই ঠান্ডা লেগে যায়, সর্দি-কাশি হয়, তাঁরা এই পানীয় খেলে উপকার এবং আরাম দুটোই পাবেন।
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবাইয়াল উপকরণ। তার ফলে ইনফেকশন এড়াতে এই উপকরণ সহায়তা করে। সর্দি কাশির সমস্যা কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এই পানীয়।
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চায়ে দুধ এবং চিনি খাওয়া পছন্দ করেন না। তাঁরা লিকার চা বা কালো চা শীতের দিনে খেতেই পারেন। এই চা তৈরি করার জন্য ফ্লেভার টি ব্যবহার করতে পারেন।
লিকার চা বা কালো চা মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে খুব দ্রুত রোগে আক্রান্ত হবেন না আপনি।
কফিতে দুধ এবং চিনি অপছন্দ হলে শীতের মরশুমে আপনার সঙ্গী হোল ব্ল্যাক কফি। তবে দুধ, চিনি ছাড়া কফি খেলে অনেকসময় অ্যাসিডিটি হয়। তাই আপনার প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে এই পানীয় এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক।
এমনিতে ব্ল্যাক কফির মধ্যে থাকা ক্যাফাইন আমাদের এনার্জি প্রদান করে। অর্থাৎ কাজের ফাঁকে এক কাপ ব্ল্যাক কফি চলতেই পারে। আপনি চাঙ্গা থাকবেন। এছাড়াও ত্বকের খেয়াল রাখে ব্ল্যাক কফি। তবে এই পানীয় স্বাদে তেতো হয়। ফলে আপনি চাইলে দুধ এবং চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন।
গ্রিন টি খাওয়ার যে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা প্রায় সকলেরই জানা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ এই পানীয় আমাদের শরীরে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
তবে অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই উল্লিখিত পানীয়গুলির কোনওটিই অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে ঘুমের সমস্যা থাকলে রাতে চা-কফি এড়িয়ে চলাই মঙ্গলের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -