Turmeric Milk: অনিদ্রা থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, শরীর সুস্থ রাখতে হলুদ দুধের হাজারো উপকারিতা
অনেকেই অনিদ্রার কারণে সমস্যায় পড়েন। ঘুম কম হবার কারণে জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়ে। একগুচ্ছ ওষুধ খেয়েও তা অনেক সময় হার মানে। কিন্তু হলুদ মিশ্রিত দুধ আপনাকে এই সমস্যা মেটাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহলুদ সাধারণ এনার্জি বুস্টার হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। হলুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। তার উপর হলুদ মেশানো দুধ শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
হলুদ মেশানো দুধ খেলে আপনার আরও একটি বড় সমস্যা দূর হবে। তা হল বয়স। বয়সের সংখ্যা হয়তো কমানো যায় না, তবে বয়েসের ছাপ দূর করা যায়। অর্থাৎ স্কিনকে চকচকে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায়, হলুদ দুধ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে যাদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানা রোগ শরীরে বাসা বেধেছে, সেগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম পথ এই হলুদ দুধ।
ত্বকের রোগ এবং অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও অব্যর্থ টোটকা এই হলুদ দুধ। পাশাপাশি পেনকিলার হিসেবেও কাজ করে এই হলুদ দুধ।
হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক গুন রয়েছে। এখনও গ্রাম বাংলায়, আঘাত লেগে শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে হলুদ দেওয়া হয়। তবে হলুদ এবং দুধ এই দুটো একসঙ্গে খেলে, তা পুরোপুরি অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।
অপরদিকে, অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল হিসেবেও কাজ করে হলুদ। পাশাপাশি রক্তকে পরিষ্কার রাখে এই হলুদ। তাই হলুদ দুধ খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক রাখে।
সর্দি-কাশি ও যেকোনও ধরণের থেকে ফ্লু থেকেও ভাল রাখতে সাহায্য করে এই হলুদ দুধ। এমনকি গলা ব্যথা কমে আসে।
প্রধানত দুধে থাকে, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি। পাশাপাশি আরও থাকে, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। যা কিনা হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই যখন হলুদ দুধ খাওয়া হয়, তা আরও দ্বিগুন শক্তিশালী হয়ে আমাদের শরীরকে ভাল রাখে।
তবে হলুদ দুধ নতুন নয়, প্রাচীনকাল থেকেই দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। নানাবিধ উপকারিতার জন্যই আজও হলুদ দুধ জনপ্রিয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -