Exit Poll 2024
(Source: Matrize)
Sleeping Positions: শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, উপুড় হয়ে ঘুমানো উচিত নয় যে যে কারণে...
ব্যস্ততা যত বেড়েছে, ঘুম ততই কমেছে আমাদের। হাজার চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। ফলে দু’চোখের পাতা এক হতে পারে না কিছুতেই। আবার কয়েক ঘণ্টা যদিও বা ঘুম হয়, তার পরও অস্বস্তি থেকে যায় শরীরে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএ ক্ষেত্রে শোওয়ার ভঙ্গি অনেক সময় দায়ী থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমনোর অভ্যাস শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মত তাঁদের। কারণ তাঁদের মতে, উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে শরীর আরাম পায় না। এতে যন্ত্রণা আরও বাড়ে।
উপুড় হয়ে শোওয়ার অভ্যাস থাকলে যে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা হল- পেশির যন্ত্রণা, পিঠ এবং ঘাড়ে ব্যথা, কাঁধের যন্ত্রণা, নাড়ির স্পন্দন শিথিল হয়ে যাওয়া, দমবন্ধ হয়ে আসা, শরীরের তাপমাত্রাবৃদ্ধি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, নিমন রক্তচাপ, রক্ত সঞ্চালনে বাধা ইত্যাদি। শি
শিশুদেরও উপুড় হয়ে শোওয়ার অভ্যাস না করানোই ভাল। ব্রিটেনের মতো দেশে ‘সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম’ রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা শিশুর ঘুম আর ভাঙে না, অর্থাৎ ঘুমের মধ্যেই মারা যায় শিশু।
এর কারণ সম্পর্কে একেবারে নিশ্চিত ধারণা এখনও পর্যন্ত মেলেনি, তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এক্ষেত্রে শিশুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। রক্তে বেড়ে যায় কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা। উপুড় হয়ে ঘুমালে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বনডাই অক্সাইডই পুনরায় শ্বাস নেওয়ার সময় গ্রহণ করে শিশু।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে, প্রথমেই মুখে বলিরেখার দেখা দেয়। চেহারার বিকৃতিও ঘটে। কারণ উপুড় হয়ে ঘুমালে মুখের উপর চাপ পড়ে। উপুড় হয়ে ঘুমালে বাড়ে পিঠের যন্ত্রণাও।
বার্ধক্যে পৌঁছে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন। এতে মেরুদণ্ড সোজা থাকে। মৃগীরোগীদের কখনও উপুড় হয়ে শোওয়া উচিত নয়। এতে ঘুমের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের চিৎ হয়ে শোওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। এতে দমবন্দ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না, শ্বাস-প্রশ্বাস থাকে স্বাভাবিক।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পাশ ফিরে শোওয়াই আদর্শ বলে মত চিকিৎসকদের। এতে নাকডাকা, বুকজ্বালা করার সমস্যা দূর হয়। দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়ার সমস্যাও দেখা যায় না। হজমের সমস্যা থাকলে বাঁ দিক ফিরে শোওয়া উচিত।
আর যদি একান্তই উপুড় হয়ে ঘুমাতে হয়, তাহলে মাথার নীচে পাতলা বালিশ রাখুন। ঘাড়ে ব্যথা থাকলে বালিশ ছাড়াও ঘুমাতে পারেন। কোমরের নীচে বালিশ রাখতে পারেন। পায়ের উপর যেন বেশি চাপ না পড়ে। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -