World Music Day 2022: মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সঙ্গীতের ভূমিকা কতটা?
আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। সঙ্গীতের একাধিক ভাগ রয়েছে। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে স্বাস্থ্য, সমস্তকিছু। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, সঙ্গীত স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উপকারে সঙ্গীতের অবদানও অনেক। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কীভাবে সাহায্য করে সঙ্গীত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appইতিবাচক মনোভাব তৈরি এবং হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার অভ্যাস তৈরিতে সঙ্গীতের কোনও বিকল্প নেই। গানে মাধ্যমে মানুষ প্রেরণা পায়। তার মন ভালো থাকে। মেজাজ ভালো থাকে। এবং কাজের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সঙ্গীতের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রেস দূর করতে গানের থেকে বড় কোনও ওষুধ নেই। হালকা কোনও গান হোক কিংবা পছন্দের যেকোনও গান যদি পাশে চলে, তাহলে মন নিজে থেকেই অনেকটা ভালো হয়ে যায়। তবে, স্ট্রেস দূর করতে অত্যধিক জোরে গান না শোনারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যা মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত রাখে এমন আওয়াজে গান শুনতে হবে।
ব্যক্তির মধ্যের শিল্পীসত্ত্বাকে বের করে আনে সঙ্গীত। বিশেষজ্ঞরা তাই যেকোনও কাজের সময়ই হালকা গান চালিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। এতে মস্তিষ্ক চাপমুক্ত থাকে। এবং তার ফলে কাজ অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।
শিশুদের মনে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে সঙ্গীত। মস্তিষ্ক এবং শরীরের মেলবন্ধনে সাহায্য করে। সঙ্গীতের ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান তৈরি হয় ওদের মধ্যে। তারই সঙ্গে মন শান্ত রাখে এবং পড়াশোনা হোক কিংবা যেকোনও কিছুতেই অনেক বেশি মনোযোগী করে তোলে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দিনের শুরুটাই সঙ্গীতের সঙ্গে করা দরকার। এর জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গান শোনার অভ্যাস, কিংবা শরীরচর্চা করাকালীন বা রান্না করার সময়ও গান শোনা বা গাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
বহু মানুষই নিজের আবেগকে ব্যক্ত করতে পারেন না সঠিকভাবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঙ্গীত সেই কাজে সাহায্য করে। গানের সুরের সঙ্গে সঙ্গে গানের কথাও মন দিয়ে শোনার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে পছন্দের গান দিয়েও নিজের মনের কথা বলতে পারবেন।
মন অনেক বেশি শান্ত থাকে গান শুনলে। পাশাপাশি চঞ্চল মনের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। কোনও বিষয়ে যদি মনোযোগ দিতে না পারেন, সেক্ষেত্রে গান শোনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন নিয়ম করে গান শুনলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে কাজে এবং রোজকার জীবনে। নিজে থেকেই প্রেরণা পাওয়া যায়।
বহু ক্ষেত্রেই বড় কোনও অপারেশনের পর মিউজিক থেরাপির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে মানুষ নিজের যন্ত্রণা ভুলে থাকতে পারেন। এছাড়াও যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য গান দারুণ উপকারী। ঘুমনোর সময়ে যদি হালকা আওয়াজে গান চলতে থাকে, তাহলে ঘুম ভালো হয় বলে মত তাঁদের।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -