Vitamin E Oil: ত্বকের পরিচর্যায় কেন ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই অয়েল? কী কী উপকার পেতে পারেন আপনি?

ত্বকের পরিচর্যা করার সময় আমরা বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকি। যদি ভিটামিন ই অয়েলের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়, তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল। এই তেলের সাহায্যে ত্বকের ম্যাসাজ করলে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। অর্থাৎ ত্বকে ময়শ্চারাইজার লক হবে।

ত্বকের বিভিন্ন ক্ষয় রোধ করতেও কাজে লাগে এই ভিটামিন ই অয়েল। এর মধ্যে এমন কিছু উপকরণ রয়েছে যা কোলেজন নামক প্রোটিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।

অনেকসময় আমাদের ত্বকে ব্রন হয় এবং তার থেকে দাগ পড়ে যায়। এছাড়াও ত্বকে কোন র‍্যাশ হলে তার দাগ থাকে। এর পাশাপাশি গরমের দিনে অনেকের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যাঁদের সেনসিটিভ ত্বক তাঁদের ত্বকে লালচে ভাব লক্ষ্য করা যায়। এইসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল।

ত্বকের পরিচর্যা বা যত্নের মূল বিষয় হল ত্বক পরিষ্কার রাখা। কারণে ত্বকের মধ্যে যদি নোংরা, ময়লা জমে থাকে তাহলে আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বক পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ক্লেনজার হিসেবে এই ভিটামিন ই অয়েল দুর্দান্ত কাজ করে। ত্বকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পোরসের মধ্যে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে কাজে লাগে ভিটামিন ই অয়েল। এর ফলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।

অনেক সময় আমাদ্রে ত্বক দেখতে খুব জৌলুসহীন লাগে। ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ত্বকের মোলায়েম ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল। তাই এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন আপনি।

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রন, র‍্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব দেখা যায়- এগুলি দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল। তাই সেনসিটিভ স্কিন যাঁদের তাঁরা এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

ভিটামিন ই অয়েল এক কথায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হিসেবে কাজ করে। তবে যাঁদের ত্বক একটু সেনসিটিভ, তাঁরা এই ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিলে ভাল হবে।

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।