Health Tips: হাবিজাবি খেয়ে নষ্ট হচ্ছে শরীর! সুস্থ থাকতে জরুরি ডিটক্স
ডায়েট সম্পর্কে যতই সচেতন হই না কেন আমরা, ব্যস্ততার মাঝে ফাস্টফুড চলেই যায় শরীরে। তা যেমন ক্ষতিকর হয়, তেমনই পুষ্টিগুণ বলেও কিছু থাকে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appফলে খাবারের নামে বিষ ঢোকে শরীরে। তা থেকে অনিদ্রা, ওজন বৃদ্ধি, রুক্ষ ত্বক ও চুল, ক্লান্তির মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সময় থাকতেই তাই সচেতন হতে হয়। দিনভর যাই খান না কেন, শরীরকে বিষমুক্ত করাও জরুরি। তার জন্য কিছু অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি।
সকালে উঠে গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীর থেকে সমস্ত বিষ যেমন সাফ হয়ে যায়, তেমনই বাড়ে হজমের ক্ষমতাও।
এছাড়াও লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, যা আদতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এতে ঔজ্বল্যও বাড়ে ত্বকের।
এমনি চায়ের বদলে হার্বাল টি হোক ভরসা। এতে লিভারের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যেতে পারে সহজেই। লিভার ভাল থাকা মানেই শরীর ভাল থাকা।
তেমন প্রচলিত না হলেও, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার শরীরক শুদ্ধ রাখে। এতে হজমক্ষমতা বর্ধক এনজাইম এবং বাইল তৈরি। এর মধ্যে থাকা অ্যালকালাইন প্রদাহজনিত জ্বালা দূর করে।
ডায়েটে শাকসবজি, ফলমূল রাখার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। শাকসবজি এবং ফলের রসেও চুমুক দিতে পারেন। বেশ কিছুদিন চালিয়ে যান। পার্থক্য বুঝতে পারবেন নিজেই।
ফলের রস শরীরকে বিষমুক্ত করে। পুষ্টিও যায় শরীরে। শক্ত খাবার হজমের পক্ষেও সহায়ক। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। লিভারের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
স্নানের সময় জলে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে গায়ে ঢালতে পারেন। ত্বক থেকে বিষাক্ত পদার্থ শুষে নেয় সৈন্ধব লবণ। বাথটব থাকলে জলে মিশিয়ে নিন ভাল করে। তার পর গা ডুবিয়ে বসে থাকুন।
সৈন্ধব লবণ আসলে লবণ নয়, বরং প্রাকৃতিক উপায়ে গঠিত খনিজ, যার মধ্যে থাকে ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফেট। স্নানের জলে মেশানো থাকলে, ত্বক খনিজ শুষে নেয়। তাতে বিষ বেরিয়ে আসে।
শরীরচর্চা বাদ দেবেন না একেবারেই। কারণ পরিশ্রম হলে শরীর ঘামবে। তাতে হৃদযন্ত্রের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই গতি বৃদ্ধি হবে রক্ত সঞ্চালনের। যত বেশি ঘামবেন, শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে বিষ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করুন। এতে শরীর শুধু বিষমুক্তই হবে না, ঔজ্বল্য বাড়বে চেহারার। শক্তি পাবেন। আবার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -