Hangover: হ্যাংওভার থেকে মাথা যন্ত্রণা ও অন্যান্য সমস্যা, দূর করবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ টিপস
অ্যালকোহল খাওয়ার পর বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাজে ভাবে মাথা ধরেছে। এছাড়াও থাকে গা-গোলানো বমি ভাব। সারা শরীরে থাকে ঝিম ধরা ভাবও। এক কথায় একেই বলে হ্যাংওভার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই হ্যাংওভার দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য অনেকেই ওষুধপত্র খেয়ে থাকেন। হ্যাংওভারের ফলে হওয়া অন্যান্য শারীরিক অসুবিধার দূর করার ক্ষেত্রেও এইসব কাজে লাগে।
তবে ওষুধপত্র ছাড়াও প্রাথমিক ভাবে হ্যাংওভারের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে কিছু ঘরোয়া টোটকা। সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাবেন আপনি।
হ্যাংওভারের কারণে তীব্র মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সেই সময় একটু বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। খুব দরকার হলে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। অন্যথায় চুপচাপ কোনও ঘরে বসে থাকুন। আলোর থেকে দূরে থাকলেও অনেকসময় মাথা যন্ত্রণা কমে যায়।
অনেকেই হ্যাংওভারের সমস্যা কাটানোর জন্য লেবুজল খান। এক্ষেত্রে জলের মধ্যে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য বিটনুন। হাল্কা গরম জল খেতে পারলে ভাল। তবে খালি পেটে এই পানীয় না খাওয়াই ভাল।
বডি ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি হলে হ্যাংওভারের সমস্যা একলাফে বাড়তে পারে। অতএব কোনও ভাবেই শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।
অ্যালকোহল খাওয়ার পর অর্থাৎ মদ্যপানের পর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে হ্যাংওভার থেকে সহজে নিস্তার পাবেন।
হ্যাংওভার কাটানোর সবচেয়ে ভাল ওষুধ হল বিশ্রাম। আর সঠিকভাবে বিশ্রাম সম্ভব পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে। তাই অ্যালকোহল সেবনের পর অন্তত সেদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
ব্রেকফাস্ট একেবারেই বাদ দেবেন না। কারণ হ্যাংওভার থাকলে সেই সঙ্গে যদি খালি পেটে থাকেন তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। স্বাস্থ্যকর খাবার ব্রেকফাস্ট অর্থাৎ জলখাবারে খেলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক থাকবে এবং শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব বা এক্ষেত্রে হ্যাংওভার কেটে যাবে।
চা-কফি খেলে, এই দুই পানীয়ও হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্যাফাইন হ্যাংওভার কাটায়। শুধু তাই নয় হ্যাংওভার থাকলে সেই সময় চা বা কফি খেলে মাথার যন্ত্রণায় উপশম হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -