Home Decor at low budget: কম খরচে কীভাবে সাজিয়ে তুলবেন আপনার ঘর?

রে শৈল্পিক ছোঁয়া আনতে বেছে নিতে পারেন পছন্দমত পেন্টিং। ঘরের মাপ অনুযায়ী একটি দেওয়ালে টাঙাতে পারেন পেন্টিং। যা চোখকে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি আপনার ঘরের লুক পাল্টাতে সর্বোতভাবে সক্ষম।

আপনি বই পড়তে ভালবাসেন? বইও কিন্তু হয়ে উঠতে পারে ঘর সাজানোর উপকরণ। স্টাডি রুম ছাড়াও বসার ঘরের একটি দৃশ্য়মান জায়গায় সাজিয়ের রাখতে পারেন আপনার পছন্দের সমস্ত বই।

ঘর সাজাতে ল্য়াম্প শেডের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘরের যে কোনও কোনায় ল্য়াম্প শেড রাখা যেতে পারে। হ্যাঙ্গিং ল্য়াম্প শেড হলে তা বাড়ির করিডরে ঝোলানো যেতে পারে। এর নরম আলো ঘরের শোভা বাড়াবে ও আপনার মনকে ভালো করবে।

ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে রঙের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পুরনো আসবাবে নতুন করে রঙ করে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি সোফা বা বালিশের কভার পাল্টে পাল্টে দেওয়া যেতে পারে। ঘরের রঙ হালকা হলে, পর্দার রঙ উজ্জ্বল বেছে নিতে পারেন।

ঘরে যদি সবুজের ছোঁয়া দেওয়া যায়, তাহলে এর থেকে ভাল কিছু হয় না। আপনার পছন্দমত ইন্ডোর গাছ বেছে নিন, আর তারপর জানলায়, ঘরের কোনায়, শোবার ঘরের যে কোনও জায়গার রেখে দিন। অনেকে ঘর সাজাতে ক্য়াকটাস গাছেরও ব্য়বহার করে থাকেন।

ফুল ভালবাসেন না এমন মানুষ নেই। কোনও বিশেষ দিন, বা কোনও সাধারণ দিনকে বিশেষ করে তুলতে ঘরে নিয়ে আসুন ফ্রেস ফুল। ফুল এমনই একটি জিনিস যা সবসময়ই ইতিবাচক এনার্জির সঞ্চার করে, ও ঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে।

ফটো ফ্রেম ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ উপকরণ। কম খরচে আপনার পছন্দমত ছবি বাঁধিয়ে দেওয়ালে টাঙায়ে দিন। আজকাল কোলাজ করা ফটোফ্রেম বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এখানে আপনি একাধিক ছবি রাখতে পারেন।

রাস্তায় বিভিন্ন ধরণের ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিস পাওয়া যায়। সেরামিকের ফুলদানি হোক বা রঙিন ড্রিম ক্য়াচার। খুব ছোট ছোট জিনিসই হয়ে উঠতে পারে আপনার ঘর সাজানোর উপাদান।

কম খরচে দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ালপেপার। স্যান্ডস্টোন, রাস্টিক টাইলস, টেরাকোটা বা প্রাকৃতিক দৃশ্য সব ধরনের ওয়াল পাবেন বাজারে। ঘরের যে কোনো একটা দেয়ালে পছন্দমতো ওয়ালপেপার লাগিয়ে নিন।

ঘরের আসবাবপত্র গুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় রেখে দেখতে পারেন কেমন লাগে ঘরটি। হয়তো দেখা যাবে কোন কিছুর জায়গা পরিবর্তনের ফলে ঘরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে।