Hair Care: শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং-মাস্ক, রঙিন চুলের সঠিক যত্নের খুঁটিনাটি
চুলে রং করা থাকলে যত কম তা শ্যাম্পু দিয়ে ধোবেন তত ভাল। সপ্তাহে দু-তিনবার ঠিক আছে। গোড়ার সমস্ত তেল শুকোতে এমনিতে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই ভাল। প্রায়দিনই শ্যাম্পু করার অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁরা সেই অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেই ভাল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবছরের পর বছর ধরে রোজই প্রায় শ্যাম্পু করে আসছেন তবে চুল রং করিয়ে এবার শ্যাম্পু বাদ দিয়ে সোজা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তাতে চুল হবে নরম, উজ্জ্বল। চুল পাবে পুষ্টিও। এবং রংও ধুয়ে যাবে না।
রঙিন চুলের জন্য পাওয়া যায় 'কালার প্রটেক্টিভ' শ্যাম্পু। সাধারণ শ্যাম্পু চুলের রং ফিকে করে দিলেও বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পু যা রং ধরে রাখতে সাহায্য করে। সঠিক ধরনের চুলের জন্য সঠিক প্রকার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, কিন্তু তাতে সালফেটের পরিমাণ কম হলেই হল।
চুলে রং করালে তা এমনিই বেশ ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে তা এমনিই রঙিন চুল বের করে দিতে পারে এবং এর ফলে ঝলমলে চুল বিবর্ণ হয়ে যায়। তাই চুল হাইড্রেটেড রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার প্রয়োজন। তেল, মাখন, কন্ডিশনিং পলিমার এবং অন্যান্য হাইড্রেটিং উপাদান ব্যবহার করুন কন্ডিশনার হিসেবে।
চুলে 'হিট প্রোটেকশন' স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে তাপ থেকে চুলের যে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা কমে। বিশেষত সন্ধ্যার দিকে চুল বা তালু যখন তাপ নিঃসরণ করে তখন এই স্প্রে বিশেষ কাজে লাগে। যদিও তার ক্ষমতাও খুবই সীমিত, ফলে 'হিট স্টাইলিং' থেকে চুলকে দূরে রাখাই শ্রেয়।
চুলে রং করালে 'হেয়ার মাস্ক' ব্যবহার করা আবশ্যিক। সেখানেও ফের ফিরছে কন্ডিশনারের প্রসঙ্গ। সপ্তাহে দুবার করে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য 'হেয়ার মাস্ক' ব্যবহার করুন। ভঙ্গুর চুল মজবুত হয়, মেলে পুষ্টি, বাড়ে ঔজ্জ্বল্য।
চুলে রং করালে তা তাপ থেকে দূরে রাখাই ভাল। তাই ব্লো ড্রাই, স্ট্রেটনিং বা কার্লিং টংসের ব্যবহার না করলে রং টিকবে বেশিদিন। এগুলিতে চুল তো নষ্ট হয়ই, সেই সঙ্গে রঙের ঔজ্জ্বল্যও চলে যায়। বরং প্রাকৃতিক উপায়ে হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নিন।
রঙিন চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। তা থেকে রঙিন ঝলমলে চুল রক্ষা করতে ফিল্টার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষত সূর্যের রোদে বের হওয়ার আগে বা চড়া আলোয় যাওয়ার আগে। এমনকী শীতকালে, যখন রোদের তেজ কম থাকে তখনও চড়া আলো চুলের ক্ষতি করতে পারে।
মনে রাখবেন জলে থাকা ক্লোরিন কিন্তু রঙ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। চুলের রঙের সঙ্গে ক্লোরিন মিশলে তাতেও বদল ঘটতে পারে, একইসঙ্গে চুল বিবর্ণও করে দেয় তাড়াতাড়ি। তাই সাঁতারে যাওয়ার আগে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। তারপর চুল টেনে তুলে খোঁপা করে নিন যাতে রাসায়নিক ক্ষতি না হয়।
শেষ পর্যন্ত, চুলের ঔজ্জ্বল্য ও স্বাস্থ্য ভাল যেমন বাইরে থেকে করা প্রয়োজন, তেমনই ভিতর থেকেও জরুরি। তৈলাক্ত মাছ যেমন স্যামন, ম্যাকারেল বা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুলের পুষ্টি অন্দর থেকেও আসে। চুল হয় উজ্জ্বল, মজবুত। আখরোট খান নিয়মিত, ফলে যে ভিটামিন ই শরীর প্রবেশ করবে তা রং করানোর পরে চুলের শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -