Life Lessons: সামনের মানুষটি কি মিথ্যে বলছেন, বুঝুন এই লক্ষণগুলি দেখে
জীবিতকালে নয় নয় করে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের সংস্পর্শে আসি আমরা। সেই নিরিখে প্রতিদিন প্রায় তিন জন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় আমাদের। এঁদের মধ্যে কে শুভাকাঙ্খী আর কে অন্য অভিসন্ধি নিয়ে এসেছেন, তা বোঝা দুষ্কর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপরিচিতদের মধ্যে কেউ মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসেন আমাদের, শুভ কামনা করেন, কেউ আবার চোখের উপর চোখ রেখে মিথ্যে বলে যান একনাগাড়ে। তাঁদের চিনতে, বুঝতে অনেকটা সময় লেগে যায় আমাদের। ফলে অনেক ক্ষতিও হয়ে যায়। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যে মিথ্যে বলছেন, তা গোড়াতেই বোঝা সম্ভব। শুধু কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে।
সত্য বলার একটা সুবিধা হল যে, কথা বলার আগে দু’বার ভাবতে হয় না। কিন্তু যে ব্যক্তি মিথ্যে বলেন, একই ঘটনা দু’বার বলতে গেলে, প্রথম এবং দ্বিতীয় বারের মধ্যে ফারাক থাকে। প্রথম বার তিনি যে কথা বলেছিলেন, দ্বিতীয় বারের সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় তার মিল নেই বুঝতে পারবেন। কারণ মিথ্যে বলতে গিয়ে কী বলেছিলেন, তা মনেই থাকে না এঁদের। তাই দ্বিতীয় বার একই কথা উঠলে আবারও কল্পনা মিশিয়ে পেশ করেন। অনেকে আবার অতিরিক্ত চালাক হন। কথায় ফারাক রয়ে যাচ্ছে বুঝে কৈফেয়তও দেওয়ার চেষ্টা করেন এঁরা।
মিথ্যে বলার সময় সাধারণত চোখে চোখ রাখতে পারেন না সামনের জন। দেখনদারির জন্য হয়ত সোজাসুজি আপনার দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন, কিন্তু মাঝে মধ্যেই দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করবে। বিশেষ করে যদি মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলেন কেউ, বুঝবেন দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন তিনি। কেউ যদি চোখের দিতে তাকাতে ইতস্তত করেন, বুঝবেন অপরাধ বোধে ভুগছেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালাতে চাইবেন তিনি।
মিথ্যে বলার সময় ধরা পড়ারও ভয় থাকে। তাই নার্ভাস বোধ করেন সামনের জন। তাই আপনার নজর ঘোরাতে অস্থির আচরণ করতে পারেন তাঁরা। অযথা হাত-পা নেড়ে কথা বলা, একনাগাড়ে পা নাড়িয়ে যাওয়া, তেমনই কিছু লক্ষণ। চুল নিয়ে খেলাও করতে পারেন সামনের জন।
মিথ্যে বলার সময় রক্ষণাত্মক বা আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিতে পারেন সামনের জন। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে গোড়া থেকেই গা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। আসল বিষয় থেকে নজর ঘোরানোরও চেষ্টা করেন এঁরা। অন্যকে দোষারোপ করেন। এক কথা থেকে অন্য কথায় চলে যান মুহূর্তের মধ্যে। নিজেকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখানোর প্রবণতাও থাকে এঁদের। ‘আমাকে কি অপরাধী মনে হচ্ছে’, ‘আমার সঙ্গে কেন এমন অন্যায় করছো’, এই ধরনের কথা বলতে পারেন, যাতে আপনি অপরাধ বোধে ভোগেন।
মিথ্যে বলার অন্যতম লক্ষণ হল একই কথার পুনরাবৃত্তি করা। কোথাও একটা জোর করে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা থাকে। আবার কখনও কখনও ইচ্ছা করেই এক কথা বলতে থাকেন, আসলে ভিতরে ভিতরে কথা সাজানোর জন্য যথেষ্ট সময় নিচ্ছেন তিনি। যেমন কাল রাতে কোথায় ছিলেন হয়ত কাউকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি। ‘বাড়িতে ছিলাম, বিশ্বাস করো, ওকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো, এর দিব্যি করে বলছি’, এমন যদি কেউ বলেন, বুঝবেন, কিছু ঢাকতে চাইছেন তিনি।
কঠিন এবং স্পর্শকাতর প্রশ্ন শুনলে, উত্তর দিতে যদি ইতস্তত করেন কেউ, অনেক সময় নিয়ে শুধু হ্যাঁ, হুঁ করতে থাকেন, বুঝবেন, কী বলবেন ভাবতে সময় নিচ্ছেন তিনি। আগের কথার সঙ্গে যাতে কোথাও কোনও ফারাক না থাকে, মনে মনে তার হিসেব কষে নিচ্ছেন।
কথা বলার সময় হয়ত একটু বেশিই বিনয় দেখাচ্ছেন কেউ, অথবা মুখে একটা হাসি ঝুলিয়েই রেখেছেন, বুঝবেন অসৎ উদ্দেশ্য ঢাকতে চাইছেন। অনেক সময় নার্ভাস হয়ে কেউ কেউ হেসে ফেলেন। তাতেও সতর্ক হওয়ার কারণ রয়েছে। কেউ কেউ হয়ত সত্যিই পরিস্থিতি হালকা রাখতে আলগা হাসছেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে হাসির ধরন বোঝা যায়। একেবারে কান পর্যন্ত হাসি ঝুলিয়ে, ইনিয়ে বিনিয়ে যদি কথা বলেন কেউ, বুঝতে হবে মিথ্যে বলছেন তিনি।
মিথ্যে বলার আর একটি লক্ষম হল, সামনের জন সবসময় প্রসঙ্গ এড়াতে চাইবেন। আপনি কোণঠাসা করছেন বুঝতে পারলে, অন্যের দিকে সন্দেহ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। হয়ত সঙ্গীর ঠকাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে আমার। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি আপনাকেই সন্দেহপ্রবণ, অবিশ্বাসী, হিংসুটে বললে বুঝবেন, কোথাও একটা গলদ রয়েছে। এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -