Arthritis Tips: গাঁটের ব্যথায় বেসামাল? স্বস্তি পেতে ভরসা কী?
আর্থারাইটিস। এই নাম শুনলেই বহু লোকের উদ্বেগ হঠাৎ করেই যেন বেড়ে যায়। প্রদাহজনিত এই রোদের কারণে ব্যথা হয়, সেই ব্যথা ব্যাহত করে স্বাভাবিক জীবন চলাচল। শীতকালে আর্থারাইটিসের ব্যথার সমস্যা বাড়ে। গরমকালেও সমস্যা থেকেই যায়। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া আর্থারাইটিসের রুগীদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা ডিহাইড্রেশন ঘটায় যা গাঁটের সমস্যা বৃদ্ধি করে। শরীরে হাইড্রেশন ঠিকমতো রাখলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা সুরাহা মিলতে পারে। তার জন্য কিছু পানীয়ের উপর ভরসা রাখা যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগ্রিন টি: প্রদাহরোধী বা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি পুষ্টিগুণে ভরপুর গ্রিন টি। গাঁটের ব্যথা, আর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে কার্যকরী। সামান্য মধু দিয়ে বা অল্প লেহুর রস দিয়ে পান করলে কাজে দেবে।
আদা চা: আদায় একাধিক গুণ রয়েছে। তার মধ্য়ে অন্যতম প্রদাহরোধী গুণ। কোনও জায়গার প্রদাহ রুখতে সামান্য করে আদা। সর্দি দূর করতে যেমন কাজে লাগে, তেমনই আর্থারাইটিসে সুরাহা পেতেও উপকারী
হলুদ-দুধ: হলুদে কারকুমিন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে যা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি। আর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার রয়েছে। দুধে, মধু, লবণ দিয়ে তাতে হলুদ মিশিয়ে তৈরি হয় এই পানীয়।
চেরি: চেরিতে প্রদাহরোধী যৌগ রয়েছে। যে কোনও প্রদাহের নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়ম করে ফল হিসেবে চেরি খেলে উপকার মিলবে।
আনারস: আনারসে ব্রোমেলেইন থাকে। এই উৎসেচকে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। কোনও পানীয়ে আনারসের রস মেশানো যায়। ফ্রুট স্যালাডেও খাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা: গাঁটের স্বাস্থ্য ভাল করতে পারে অ্যালোভেরা। মূলত ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহৃত হলেও এর প্রদাহরোধী একাধিক গুণও রয়েছে। জল বা অন্য কোনও পানীয়ের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খাওয়া যায়।
লেবু: লেবু শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য় করে। শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও সাহায্য় করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে এক কোয়া লেবুর রস মিশিয়ে খেলে একাধিক উকার মিলবে।
খেয়াল কোনদিকে? গরমে আর্থারাইটিস যাতে বেশি না ভোগাতে পারে তার জন্য কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাইড্রেশন যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু খাবার বাদ রাখলেই ভাল হয়। যেমন ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। গাঁটের ব্য়থা যেমন কম থাকবে তেমনই প্রদাহের সমস্যাও কমবে। ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -