Brown Rice Diet: ব্রাউন রাইসে কতটা পুষ্টি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ভারতে তো বটেই, গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে মূল খাদ্য ভাত। আরও স্পষ্ট করে বললে সাদা ভাত। সঙ্গে তরকারি-মাছ বা মাংস যাই থাকুক না কেন ভাত ছাড়া সবই অচল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসাদা ভাতের চল এখনও রয়েছে, কিন্তু তার মাঝেই বেশ কয়েক বছর ধরেই খুব বেশি করে শোনা যাচ্ছে। হোল গ্রেইন খাওয়ার দিকে যে ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। তেমনই চল বাড়ছে ব্রাউন রাইসের দিকেও।
বলা হয়ে থাকে, অন্য় চালের থেকে ব্রাউন রাইস অনেকটাই কম প্রক্রিয়াকরণ হয়ে থাকে। ফলে তুলনায় অনেকটাই বেশি পুষ্টি মেলে এই ধরনের চাল থেকে।
প্রতিটি চালের দানা দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয় একটি হল খোসা, অন্যটি হল শাঁস। বাইরের স্তরেই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিপদার্থ থাকে। থাকে প্রয়োজনীয় খনিজও।
সাদা চালের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণের কারণে বাইরের স্তরটা নষ্ট হয়ে যায় বা বাদ চলে যায়। ফলে অধিকাংশ পুষ্টিই হাতছাড়া হয়ে যায়। ব্রাউন রাইসের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। ফলে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ পুষ্টিপদার্থ রয়ে যায়।
এককাপ ব্রাউন রাইস নিতে হবে। প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে একটি প্রেশার কুকারে নিতে হবে সেই চাল। যে কাপে চাল নেওয়া হয়েছিল, সেই কাপেই ২ কাপ জল দিতে হবে।
এক্ষেত্রে একটি নিয়ম রয়েছে। প্রতি কাপ চালের জন্য দুই কাপ জল দিতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় সামান্য নুন দিতে পারেন, না দিলেও চলে। এরপর প্রেশার কুকারে ঢাকনা আটকে দিন। তারপর ঢিমে আঁচে বসিয়ে দিন। নির্দিষ্ট সময় পরে আঁচ বন্ধ করে দিয়ে সেভাবেই রেখে দিন প্রেশার কুকার। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ব্রাউন রাইসের ভাত।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রাউন রাইসে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। বাকি পুষ্টিগুণও অনেক বেশি থাকে। ফলে সাদা চালের থেকে বেশি উপকার।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এটি। ভিটামিন বি থ্রি (Vitamin B3), ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়ামও অনেক বেশি থাকে ব্রাউন রাইসে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। সব ছবি: Pixabay/ Pexels
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -