Momos Disadvantages: রোজই খাচ্ছেন মোমো? পছন্দের খাবারে কি লুকিয়ে বিপদ?
পাঁচ তারা রেস্তরাঁ থেকে গলির দোকান-সব জায়গায় বিরাজ করে মোমো। আদতে তিব্বতের খাবার, নেপাল-ভুটান হয়ে, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলা হয়ে এখন সারা দেশে পরিচিত। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে মোটা মাইনের চাকুরে- সবার পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মোমো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হরেকরকমের স্বাদ, নানা ফিউশনও এসেছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসস্তায় পেট ভরাতে এবং চটজলদি খাবারের খোঁজে এখন মোমোর চাহিদা আকাশছোঁয়া। অনেকেই কম পয়সার দ্রুত পেট ভরাতে মোমোর খোঁজে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিন বা প্রায়শই মোমো খেলে শরীরে ক্ষতি হয় না তো? সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন?
মোমোর অন্যতম উপাদান ময়দা। ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। অর্থাৎ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করাতে পারে ময়দা। যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি, বা বেশির দিকে তাঁরা যদি প্রায়শই মোমো খান। তা বিপজ্জনক। তাছাড়াও, সুস্থ কোনও ব্যক্তিও যদি প্রায়শই মোমো খেয়ে থাকেন তাঁরও ব্লাড সুগার বৃদ্ধির ঝুঁকি থেকে যায়।
এদেশে বা বাংলায় মোমো তৈরিতে তেলের ব্যবহার হয়। স্বাদ বৃদ্ধি করতেও অতিরিক্ত তেল ব্যবহার হয়। যার ফলে প্রায়শই মোমো খেলে অতিরিক্ত তেল খাওয়া হয়ে যায়।
তাছাড়া, ময়দা দিয়ে মোমো তৈরি হয় বলে সেটাও ওজন বাড়াতে পারে। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা থাকে তাহলে অবশ্যই মোমোর মতো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
পাচনতন্ত্রের সমস্যা থাকলে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ময়দা একেবারে বাদ দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সেক্ষেত্রে এড়াতে হবে মোমো।
Mono-sodium glutamate (MSG), স্বাদ বাড়াতে অনেক খাবারে এটি ব্যবহার হয়। মোমোর ক্ষেত্রেও হয়। প্রতিদিন এই পদার্থ শরীরে গেলে তা নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে। নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে এই পদার্থ ব্যবহার হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ব্যবহারে স্নায়ু এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতিও হতে পারে।
খাবার যতই সুস্বাদু হোক, দেখতে হবে তা কতটা স্বাস্থ্যকর। অধিকাংশ রাস্তায় খাবার দোকানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে না, অনেক ক্ষেত্রে তা মেনে চলার পরিস্থিতিও থাকে না। যার ফলে প্রতিনিয়ত রাস্তার দোকানের খাবার খেলে তা শরীরে ক্ষতি করতে পারে। সংক্রমণ, পেটের ক্ষতির ঝুঁকি থেকে যায়।
তবে যতই ভয় থাকুক, স্বাদ অস্বীকার কার যায় না। তাই মোমো খেলেও রোজ না খাওয়াই ভাল। মেপে খাওয়া যায়। পাশাপাশি যেখান থেকে খাওয়া হচ্ছে, সেই দোকান কতটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করছে তাও দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। সব ছবি: Pixabay/ Pexels
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -