Lifestyle:সাঁতার মানে 'ফুল বডি ওয়ার্ক আউট', চর্চায় জোর বিশেষজ্ঞদের
অনেকে মনে করেন, সাঁতার মানে সারা শরীরের এক্সারসাইজ বা ফুল বডি ওয়ার্ক আউট। কাজেই সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত সাঁতারের অভ্যাস রাখা জরুরি, পরামর্শ দেন বহু ডাক্তার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএমনিতেও শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সাঁতার অনেকেই ভালোবাসেন। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এর আলাদা আনন্দ রয়েছে, সে কথাও অস্বীকার করা যায় না। তবে সবার আগে একবার চোখ বোলানো যাক এর স্বাস্থ্যগুণে।
সাঁতার মানে শরীরের প্রত্যেকটি পেশির এক্সারসাইজ। ট্রেনারের তত্ত্বাবধান নিয়মিত এর চর্চা করলে মাসলগুলি তরতাজা এবং সক্রিয় থাকে, সার্বিক ফিটনেসও বাড়ে।
'জয়েন্ট' বা অস্থির সংযোগস্থলের উপরও চাপ দেয় না এই এক্সারলসাইজ। তাই অন্য কোনও সমস্যা না থাকলে যে কোনও বয়সের মানুষ স্বচ্ছন্দ্যে এটি করতে পারেন।
হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চান? ডাক্তার বার বার সে জন্য জোর দিচ্ছেন? সাঁতার কেটে দেখতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই জলে নামা ভাল।
লাং ফাংশন বা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও কার্যকরী হতে পারে সাঁতার। তবে নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই সমীচীন। চিকিৎসক সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই সাঁতার দিতে পারেন।
বয়সের ভার বা অন্যান্য একাধিক কারণে শরীরের নানা অংশ নমনীয়তা হারাতে পারে। সাঁতার সেই নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতেও উপযোগী, মনে করেন বহু বিশেষজ্ঞ।
এটি এতটাই 'ক্যালরি বার্নিং এক্সারসাইজ' যে যাঁরা ওজন ঝরানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরাও নিয়মিত সাঁতার কেটে দেখতে পারেন। ফল মেলার সম্ভাবনা অনেকটাই, মনে করেন বহু ফিটনেস বিশেষজ্ঞ।
আরও একটি বিষয়, যা হয়তো বহু সময় নজর কাড়ে না, তা হল জলে নামলে অনেকেরই স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কেটে যেতে পারে।
সার্বিক ভাবে এটি একটি দুরন্ত এক্সারসাইজ। শরীরের পক্ষে দুরন্ত, মনের দিকেও খেয়াল রাখে। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সাঁতারে বাধা থাকলেও থাকতে পারে। তাই একবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেই জলে নামুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -