Lifestyle: চাপ ও প্রতিযোগিতার ভারে 'স্ট্রেস' শিশুদের? কাজে দিতে পারে মাইন্ডফুলনেস
বইখাতা থেকে ইন্টারনেট, খেলাধুলো হোক বা আঁকার খাতা, শৈশব মানে যেমন শেখার প্রশস্ত সময়, তেমনই প্রত্যেক দিন নিত্যনতুন হরেকরকম কিছু জানা। তবে বহু ক্ষেত্রে প্রতিদিনের এই 'চাপ' শিশুমনকে বিপর্যস্ত করে ফেলতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএর উপর রয়েছে আবার প্রতিযোগিতা। সব মিলিয়ে শিশুদের অনেকেই আজ স্ট্রেসের শিকার। আশার কথা এটাই, যে মোকাবিলার একাধিক উপায় রয়েছে।
একটি উপায় অবশ্যই মাইন্ডফুলনেস। এবং জীবনের প্রাথমিক পঠনপাঠনগুলির মতো এই মাইন্ডফুলনেস শেখানোর দায়িত্ব-ও মা-বাবারই।
আশপাশের মানুষজন, বিশেষত মা-বাবা, কী করছেন, তা দেখে অনেক কিছু শেখে শিশুরা। কাজেই অভিভাবকরা যদি নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস চর্চা করেন, তা হলে হয়তো সন্তানও তা দেখে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
তুমুল স্ট্রেসের সময়ও কী ভাবে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখতে হয়, কী ভাবে যত্নশীল হতে হয়, সেটিও মা-বাবারা নিজেদের নজির তৈরি করে শিশুদের দেখাতে পারেন।
সহজ-সরল ব্রিদিং এক্সারসাইজ দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। মা-বাবা, শিশুকে বলতে পারেন, অল্প কিছুক্ষণের জন্য নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সক্রিয় ভাবে খেয়াল করতে হবে।
প্রত্যেকটা মুহূর্তে সম্পূর্ণ স্বাদ যাতে পাওয়া যেতে পারে, তাই পঞ্চেন্দ্রিয়র ব্যবহার জরুরি।
বাচ্চাদেরও সেই মর্মে উৎসাহ দেওয়া দরকার। তারা যাতে প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে মুহূর্তগুলি বোঝার চেষ্টা করে, সেটিও দেখতে পারেন মা-বাবা।
অন্যদের কথা মন দিয়ে শোনার অভ্যাস করাটাও এই প্রক্রিয়ার অংশ। সেই জন্য অভিভাবকরা যখন বাচ্চাদের গল্প বা ছড়া পড়ে শোনাবেন, তখন তাদের বাধা না দিতে শেখাতে হবে। এতে মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ে, সমানুভূতি দিয়ে কথাবার্তা চালানোর ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -