Panifal Tips: পানিফল পছন্দ নয়? কী কী হাতছাড়া হচ্ছে জানেন?
এই ফল কৌলিন্যের বিচারে প্রথম কয়েক সারির মধ্যে থাকে না। কিন্তু মরসুমে দু-এক বার বাড়িতে আসেই। কখনও পড়ে থেকে শুকিয়ে যায়। কখনও আবার মনে করে কয়েকদিন ফলের পাত্রে জায়গা হয় এর। এর নাম পানিফল
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅবশ্য এমন লোকও রয়েছে যাঁরা পানিফল বেশ পছন্দ করেন। খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার ঝামেলা থাকলেও বছরের কটা দিন ভালবেসেই খান। শরৎকাল আর শীতকালের শুরুর দিকে পুকুর-ডোবায় ফলন হয় এই ফলের। সাধারণ দেখতে এই ফলটির গুণ কিন্তু অসাধারণ।
পানিফলে ইংরেজি নাম Water Chestnut. যদিও এটি একেবারেই বাদামগোত্রীয় ফল নয়। জলজ এই উদ্ভিদ বিভিন্ন জলা, পুকুর, ধানের জমি, একটু অগভীর জলাশয়ে জন্মায়। চা।ও করা হয়।
ভারতের বিভিন্ন এলাকায়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশে, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, চিনের একটি অংশে এর বিভিন্ন প্রজাতি পাওয়া যায়। ঘন বাদামি বা সবজেটে রং হয়ে গেলেই এগুলি তুলে ফেলা হয়।
সাধারণত, খোসা ছাড়িয়ে কাঁচাই খাওয়া যায় শাঁস। অনেকসময় পানিফল রান্নায় সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন তরকারি, স্য়ালাডে ব্য়বহর করা হয়। এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ।
বিভিন্ন ধরনের পোষকপদার্থ রয়েছে পানিফলে। ক্যালোরি থাকে। ফ্যাট প্রায় থাকে না বললেই চলে। কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর থাকে এটি। দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফাইবারও মেলে। ফলে পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখতে, রক্তচাপ ঠিক রাখতে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও একাধিক খনিজও থাকে পানিফলে।
অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর থাকে পানিফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট প্রয়োজনীয়। কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। পানিফলে একাধিক ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ভরপুর পরিমাণে থাকে।
পানিফল পটাশিয়ামের ভাল উৎস। অনেক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষাই হবে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পেট ভরানোর জন্য কাজে লাগে। সহজেই পেট ভরায় পানিফল। দীর্ঘক্ষণ ধরে পেট ভর্তি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এতে, ফলে জলের পরিমাণও মেটায় এই ফলটি। চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজনীয় এই ফলটি।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -