Paracetamol Side Effect: জ্বর-মাথাব্যথায় অব্যর্থ ওষুধেই কি ঘনাচ্ছে অন্য বিপদ? সমীক্ষায় কীসের ইঙ্গিত?
হালকা জ্বর কিংবা মাথাব্য়থা। এমন হলে হামেশাই আমরা গিলে নিই প্যারাসিটামল। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মেলেও ওষুধের দোকানে। কাজও দেয় দ্রুত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যারাসিটামল (paracetamol taking habit) ভরসা জুগিয়ে আসছে বহু দেশের বহু মানুষকে। কিন্তু সেই অভ্যাসের কারণেই এবার ঘনাচ্ছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
যাঁরা ঘন ঘন প্যারাসিটামল (paracetamol side effects) খেয়ে থাকেন তাঁদের স্বাস্থ্যের (Paracetamol on Liver) উপর পড়তে পারে মারাত্মক প্রভাব।
একটি সমীক্ষার উপর দাঁড়িয়েই এমন আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা। এডিনবরা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (University of Edinburgh) একটি দল এই সমীক্ষা চালিয়েছে। ইঁদুরের উপর দীর্ঘ পরীক্ষানিরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের দাবি যকৃৎ বা লিভারের (paracetamol effect on Liver) ক্ষতি করছে এই ধরনের প্যারাসিটামল।
বিজ্ঞানীদের দাবি যে যে তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই খোঁজ মিলেছে তা চিকিৎসকদের সাহায্য করবে। বিজ্ঞানীদের দাবি যাঁরা অতিরিক্ত প্যারাসিটামল নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্য ক্ষতি হতে (liver damage) পারে বলে সমীক্ষার ফল দেখে মনে করা হয়েছে।
ওই গবেষণা পত্রটিতে জানানো হয়েছে, এডিনবরা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে মানুষ ও ইঁদুরের যকৃতের কোষে প্রভাব পড়েছে অতিরিক্ত প্যারাসিটামলের ব্যবহারে।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে, বেশ কিছু শর্ত অনুযায়ী প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতি করছে বলে দেখা গিয়েছে। ওই সমস্যা ঠিক কী? গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে ওই সমস্যার ফলে ওই কোষের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কোষের স্ট্রাকচারাল কানেকশন নষ্ট হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যখন দুটি কোষের মধ্যে Cell Wall Connections- নষ্ট হয়ে যায় তখনই যকৃতের টিস্যুর গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোষ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তার ফলে কোষের মৃত্যুও ঘটতে পারে।
প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত ব্য়বহারের কারণে হওয়া ক্ষতি মাপার জন্য এটাই নাকি প্রথম গবেষণা। এর ফলে যকৃতে যেমন ক্ষতি হয়- ততটাই ক্ষতি হেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং ক্যানসারেও হয়ে থাকে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়, অসলো বিশ্ববিদ্যালয় (Universities of Oslo) এবং স্কটিশ ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস (Scottish National Blood Transfusion Service)-এর গবেষকরা মিলে এই খোঁজ করেছেন। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (Scientific Reports) জার্নালে
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -