Lavender Marriage: ব্যক্তিগত পছন্দের ঊর্ধ্বে গিয়ে বোঝাপড়ার বিয়ে, সামাজিক ভ্রূকুটিরই ফসল ‘ল্যাভেন্ডার ম্যারেজ’
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বড়পর্দায় সমকামী প্রেম এবং বিয়ে তুলে ধরা নিয়ে অসংকোচ দেখা যেত। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে ধীরে ধীরে সাবালক হতে শুরু করেছে বলিউড। সম্পর্কের ওঠাপড়া, ওপিঠ-ওপিঠ সবকিছু নিয়েই চলছে এক্সপেরিমেন্ট।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসেই তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন রাজকুমার রাও এবং ভূমি পেডনেকর অভিনীত ‘বধাই দো’। ছবিতে মুখ্য দুই চরিত্রকেই সমকামী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজ এবং পরিবারকে খুশি করতে যাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আর তাতেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে ‘ল্যাভেন্ডার ম্যারেজ’-এর মতো বিষয়। চারপাশের মানুষ অবগত না থাকলেও এই ধরনের বিয়ের ঘটনা নতুন নয়, যেখানে তথাকথিত মান-সম্মান রক্ষার্থে নিজের সমকামিতা লুকিয়ে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কোনও ব্যক্তি। তাঁর জীবনসঙ্গীও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকেন এবং কোনও না কোনও ভাবে দু’পক্ষই এতে লাভবান হন।
তাই ‘ল্যাভেন্ডার ম্যারেজ’-কে সুবিধাজনক বিয়ের তকমাও দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে দু’পক্ষ পরস্পরের সম্পর্কে অবগত থাকেন। চারপাশের মানুষকে বোঝাতে না পেরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেন তাঁরা।
সেই মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এক ছাদের নীচে রুমমেট হিসেবে থাকেন এবং নিজেদের পৃথক ব্যক্তিগত পরিসরও থাকে তাঁদের।
তাই বিয়ে নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত করে তোলা পরিবার এবং চারপাশের মানুষের হাত থেকে নিস্তার পেতে পরস্পরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
এর আগে, ২০০৮ সালে ‘ফ্যাশন’ ছবিতে ‘ল্যাভেন্ডার ম্যারেজ’-এর বিষয়টি উঠে এসেছিল। তাতে দেখানো হয়, কাজ না পেয়ে আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকা তরুণী স্বেচ্ছায় সমকামী ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।
তবে ‘ল্যাভেন্ডার ম্যারেজ’-এর বিষয়টি বিশ্বায়নের সঙ্গে অভিধানে ঢুকে পড়েনি। বরং আজ থেকে ১০০-২০০ বছর আগেও এই প্রথার প্রচলন ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ব সময়ে।
সেই সময় সমাজের চোখ থেকে সমকামিতাকে লুকিয়ে রাখতে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেন বিশিষ্ট বর্গের মানুষজন। যেখানে বৈবাহিক সম্পর্ক নয়, বন্ধু হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে একছাদের নীচে সারাজীবন কাটিয়ে দিতেন মানুষ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -