Kalighat : কলকাতার অভিভাবকরূপে কালীঘাটে বিরাজ করছেন মা, জানুন কালীঘাট নিয়ে এই আকর্ষণীয় তথ্যগুলি
উত্তরে দক্ষিণেশ্বর.. আর দক্ষিণে বহুলা বা বেহালা। মাঝে ধনুকের মতো বাঁকা অংশ কলকাতা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপীঠনির্নয় তন্ত্র অনুসারে কালীক্ষেত্র কলকাতার মাহাত্ম্য বারাণসীর সমতুল। সেই কলকাতার অভিভাবকরূপে কালীঘাটে বিরাজ করছেন মা দক্ষিণাকালী। সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম।
বলা হয়, বেহালা থেকে দুই যোজন ব্যাপী কালীক্ষেত্রের ৩ কোণায় অবস্থান করছেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। তাঁর মাঝেই মহাকালীর অবস্থান।
এখানে ভৈরবী, বগলা, বিদ্যা, মাতঙ্গী, কমলা, ব্রাহ্মী, মহেশ্বরী ও চণ্ডী সর্বদা বিরাজ করছেন। তাই এই জায়গা কাশী বা বারাণসীর মতোই মহা পূণ্যভূমি।
কালীঘাটের মূল পুজো আটটি। রক্ষাকালী, স্নানযাত্রা, জন্মাষ্টমী, মনসাপুজো, চড়ক, গাজন, রামনবমী, আর দীপাবলী। কালীঘাট মন্দিরে দুর্গাপুজোও করা হয়।
প্রতিদিন ভোর চারটেয় মায়ের মঙ্গলারতি দিয়ে দিন শুরু হয়। এরপর একটু বেলায় হয় মায়ের নিত্য পুজো। দুপুরের ভোগ এবং আরতি হয় দুপুর দুটোয়।
মূল মন্দিরের সঙ্গে প্রায় লাগোয়া হল মায়ের ভোগ ঘর। দুপুরের ভোগে থাকে বিশাল আয়োজন।
একটা সাধারণ দিনের ভোগের হিসেব ধরলে দেখা যায়, প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম গোবিন্দভোগ চালের ঘি-ভাত, চার কিলোগ্রাম গোবিন্দভোগ চালের সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শুক্তো, ২০ কিলোগ্রাম শাক-সবজি।
এর মধ্যে গরম কালে হয় আলু-পটলের তরকারি, শীতকালে হয় আলু ফুলকপি বা শিমের তরকারি।
বর্ষাকালে মা-কে ইলিশ মাছ ভোগ দেওয়া হয়। তবে আঁশ ছাড়া কোনও মাছ ভোগে দেওয়া হয় না। দিনের প্রথম বলি থেকে পাওয়া মাংস দিয়ে তৈরি হয় মায়ের মহাপ্রসাদ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -