Brushing Teeth: দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে হৃদযন্ত্রের! নতুন গবেষণায় প্রকাশ্যে কোন তথ্য?
দাঁতের স্বাস্থ্য়ের উপর নির্ভর করে অনেককিছু। শুধু সৌন্দর্য বা দাঁত-মাড়ি ভাল থাকা নয়। দাঁতের স্বাস্থ্য়ের উপর নির্ভর করছে সামগ্রিক স্বাস্থ্য- বিশেষ করে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত স্বাস্থ্য।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদাঁতের যত্ন ঠিকমতো না নিলে প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রে। Cardiovascular রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনটাই উঠে এসেছে সদ্য প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে।
Nature Journal's Scientific Reports-এর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল (Osaka University Hospital)-এর কয়েকজন চিকিৎসক গবেষক এই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন।
২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে ওই হাসপাতালে যাঁরা অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য় ভর্তি ছিলেন তাঁদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে যাঁরা হাসপাতালের দন্ত চিকিৎসা বিভাগে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাঁদের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তথ্যের উপরেই চলেছে বিশ্লেষণ।
মোট ১৬৭৫ জনের উপর এই সমীক্ষা চলেছে। প্রত্যেকের বয়স ২০ বছরের বেশি। সবাইকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। Group MN-এ ছিলেন ৪০৯ জন। তাঁরা প্রতিদিন দুবেলা করে দাঁত মাজেন।
Group Night-এ ছিলেন ৭৫১ জন। তাঁরা শুধুমাত্র রাতে দাঁত মাজেন। Group M-এ যাঁরা ছিলেন তাঁরা শুধু সকালে দাঁত মাজেন। এমনও লোক পাওয়া গিয়েছিল যাঁরা নিয়মিত দাঁত মাজেন না, তাঁদের Group None -এ রাখা হয়েছিল।
গবেষকদের দাবি, নিয়মিত দাঁত ও মাড়ি সাফ রাখা প্রয়োজন। কারণ, মুখে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। সেটা থেকে সহজেই সংক্রমণ ছড়ায়। মুখের সংক্রমণ সহজেই রক্তে মিশতে পারে।
এর থেকে দেহের অন্য়ত্র প্রদাহজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। সেখান থেকে তৈরি হতে পারে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যাও। গবেষকদের দাবি, দিনে দুবেলা ঠিকমতো দাঁত মাজলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়। Oral Health ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত দাঁত মাজা জরুরি বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়। পাশাপাশি Oral Health-এর সঙ্গে বাকি স্বাস্থ্যের যে সম্পর্ক রয়েছে তা বেরিয়ে এসেছে এই সমীক্ষার ফলাফলে।
তবে শুধুমাত্র দুবেলা দাঁত মাজাই নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসক দেখানোর কথা বলেছেন তাঁরা। দাঁতের মাঝে Plaque এবং tartar জমে যায়, যা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। সেগুলি ঠিক রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন ফ্লসিং-এর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। নয়তো নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সেই সমস্যার সুরাহা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -