Parenting Tips: ঘর-বাইরে সামলে সন্তানকে নিয়ে নাজেহাল? এই উপায়ে সহজেই শান্ত হবে আপনার দুরন্ত খুদে
বয়স অনুযায়ী সন্তানের মানসিক চাহিদা বুঝতে হবে। খুব ছোট বাচ্চারা সবসময়ে বাবা-মাকে কাছে চাইলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের ব্যক্তিগত পরিসরের গুরুত্ব বদলাতে শুরু করে। ওরা নিজস্ব সময় চায়। তবে চাহিদা বুঝে সামঞ্জস্য বজার রাখতে হবে অভিভাবকদেরই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআপনি যত দূরেই থাকুন না কেন, ফোন, ভিডিও কল বা যে কোনওভাবে সেখান থেকেই সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। সামাল দেওয়া কঠিন নয়। কয়েকটা দিক মাথায় রাখলেই সহজ হবে পরিস্থিতি।
আপনার কর্মজীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে, আপনার সন্তানের অবদান কতটা, সেটা ওকে জানান দিন। ওকে বোঝাতে হবে ও ছোট হলেও ব্রাত্য নয়। কঠিন এই পরিস্থিতিতে লড়াই করতে ওর ভূমিকাও যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা ওকে অনুভব করাতে হবে।
আপনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার সন্তানের মনে কী চলছে তা জানুন, মতামত নিন। কথার আদান-প্রদান চলুক।
অনেক কাজের শেষে বাড়ি ফিরে ওই সময়ে ফোন, মেসেজ বা বাইরের কাজ বন্ধ রেখে সময়টুকু শুধু ওকেই দিন। বুঝিয়ে দিন, আপনার প্রায়োরিটির তালিকার শীর্ষে রয়েছে আপনার সন্তানই।
দিনের অন্তত যে কোনও একটি সময়ে আপনার সন্তানের সঙ্গে বসে প্রাণখোলা হাসির গল্প করুন। ওদের মনের উদ্বেগ কাটাতে হবে আমাদেরই। চিকিৎসক বাবা-মায়েরা যেসব ইতিবাচক ঘটনার সাক্ষী থাকেন, বাড়ি ফিরে অথবা দূর থেকেই ওকে সে সব গল্প শোনান।
ওকে বাইরে খেলতে যেতে দিন। বাড়িতে থাকা সময়টুকু পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডোর অ্যাক্টিভিটি বাড়ান। খুদে যদি আঁকা, গান, নাচের মতো কোনও বিষয়ে আগ্রহী থাকে সেগুলোতে ওকে যুক্ত করুন
ওকে পড়ার জন্য রঙবেরঙের গল্পের বই দিন। রঙ পেনসিল খাতা রাখুন। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব ফোনের মতো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটস থেকে দূরে রাখতে।
যে সময়টা আপনি দূরে, যাঁর কাছে ওকে রেখে যাচ্ছেন সে কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা খেয়াল রাখুন। দিনের বেশিরভাগ সময়টা আপনাকে ছাড়া কার কাছে থাকছে, কী শিখছে তা গুরুত্বপূর্ণ।
চাপিয়ে নয়, বুঝিয়ে বলুন। কোনও কঠিন কিছুই ওর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার আগে ওকে বোঝান। চারপাশে আমূল বদল সেসব ছোটদের বুঝিয়ে বলা জরুরি।
অভিভাবকের হাসিমুখ বাচ্চাদের মনের উদ্বেগ কমাতে ভীষণ সাহায্য করে। তাই চেষ্টা করুন নিজের মনের আলোকিত অংশটা ওদের সামনে তুলে ধরতে। দুঃখ, হতাশা, রাগ ওদের সামনে না আনাই ভাল। কঠিন পরিস্থিতিও লঘু করে দেখান ওকে।
যে সময়টা আপনি দূরে, যাঁর কাছে ওকে রেখে যাচ্ছেন সে কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা খেয়াল রাখুন। দিনের বেশিরভাগ সময়টা আপনাকে ছাড়া কার কাছে থাকছে, কী শিখছে তা গুরুত্বপূর্ণ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -