Relationship Tips: সাধারণ রসিকতাও সহ্য হচ্ছে না, বিরক্তি ধরে যাচ্ছে সম্পর্কে, সমাধান করতে হবে নিজেকেই
ভালবাসা, বিশ্বাস, আবেগ, সম্মান, এসবই সম্পর্কের ভিত্তি। বিপদে আপদে পাশের মানুষটির হাত ছুঁতে পারলে শান্তি ভরসা পাই আমরা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্টে যায় সম্পর্কের সমীকরণও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমানুষের মন এমনিতেই জটিল। অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব, পূরণ না হওয়া প্রত্যাশা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি আমাদের মনকে ভারী করে তোলে। তখন পুরনো সম্পর্ক এবং প্রিয় মানুষটির প্রতি বিরক্তি জাগে আমাদের।
রাগ এবং নৈরাশা থেকে এই বিরক্তির উৎপত্তি। কখনও কখনও আমরা নিজেরাও বিষয়টি বুঝতে পারি না। এতে সম্পর্কে প্রভাব পড়ে। সম্পর্কে অসুখী হয়ে থাকি আমরা।
তাই এই বিরক্তি ভাবকে প্রথমেই চিহ্নিত করা প্রয়োজন। অন্যায্য ব্যবহার, পূরণ না হওয়া প্রত্যাশা থেকে মনে হয় সঙ্গী হয়ত অন্যায় আচরণ করছেন। পান থেকে চুন খসলেই তাই আহত হই আমরা। সামনের মানুষটিকে সহ্য করতে পারি না আমরা। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া নষ্ট হয় যেমন, সম্পর্কে দমবন্ধ হয়ে আসে।
এমন সময় কোথাও না কোথাও দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কথাবার্তা কমে আসে, কমে আসে ঘনিষ্ঠতা। কথা বা আলোচনা আকার নেয় তর্ক, ঝগড়ার। ঘন ঘন ঝগড়াও হতে থাকে।
মানসিক ভাবেও আগ্রাসী হয়ে উঠি আমরা। সঙ্গী রসিকতা করতে এলেও মেজাজ হারাই আমরা। দীর্ঘদিন রাগ পুষে রাখতে রাখতে একসময় বিস্ফোরণ ঘটে।
তাতে কথোপকথন এড়িয়ে চলি আমরা। পরস্পরের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। চারপাশের লোকজনের কাছে পরস্পরকে নিয়ে অভিযোগ, অনুযোগও করে ফেলি সঙ্গীকে নিয়ে। পরস্পরের কাছে প্রয়োজনীয়তা হারাই আমরা।
কোনও না কোনও সময় এমন অনুভূতি আসতেই পারে মনে। তাকে অস্বীকার না করে, সমাধানের রাস্তা বের করা উচিত। কেন এমন অনুভূতি হচ্ছে, কোথায় নিজেকে বঞ্চিত মনে হচ্ছে, আগে তা বুঝে নেওয়া জরুরি।
এমন ক্ষেত্রে যতই আহত হই না কেন, মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া ককনও উচিত নয়। কোথাও যে একটা তাল কেটেছে, সেটা সামনের জনকে জানানো প্রয়োজন। ঝগড়াঝাঁটি করে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া নয়, সামনের জনকেও বলার সুযোগ দিতে হবে।
ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ হয় না। সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকলে, কিছু করার নেই। কিন্তু ছোট ছোট ভুলচুক মাফ করে দিতে হবে। অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বরং আগামী দিনগুলি কী উপায়ে ভাল কাটে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। হারানো বিশ্বাস, সংযোগও গড়ে তুলতে হবে। কখন নিজের ক্ষমা চাওয়া উচিত, বুঝতে হবে তা-ও। সামনের জনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ছেড়ে, পরস্পরের স্বাধীন ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -