Blood Sugar : আপনারও কি এই উপসর্গগুলি রয়েছে ? কী করে বুঝবেন ভারসাম্যহীন হচ্ছে রক্তে শর্করার মাত্রা ?
ডায়াবেটিস একটি দুরারোগ্য রোগ। একবার এর কবলে পড়লে তা থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। তবে সঠিক লাইফস্টাইল অনুসরণ করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। WHO-র মতে, ডায়াবেটিসের সমস্যা বিশ্বের অন্যতম গুরুতর সমস্যা এবং রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ব্লাড সুগারের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appডায়াবেটিসকে 'নীরব ঘাতক' বলা হয়। এই রোগ যখন বেড়ে যায়, তখনই কেবল এর সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যহীন হলেই এর কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে...
আমরা যখন খাবার খাই, তখন তা থেকে শরীর গ্লুকোজ পায়, যা কোষগুলি শরীরে শক্তি যোগাতে ব্যবহার করে।
যদি শরীরে ইনসুলিন না থাকে, তাহলে তা সঠিকভাবে কাজ করে না এবং রক্ত থেকে কোষে গ্লুকোজ পৌঁছায় না। যে কারণে রক্তে গ্লুকোজ নিজেই জমে যায় এবং রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ ক্ষতিকারক হতে পারে। অর্থাৎ, এই সমস্যায় রক্তে গ্লুকোজ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
যখন অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়, তখন এটি ইনসুলিন নামক হরমোন তৈরি করতে অক্ষম হয় বা খুব কম করে। এই হরমোন শরীরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন পড়ে। এই অবস্থায়, গ্লুকোজ রক্তে দ্রবীভূত হতে শুরু করে, যা রক্তে শর্করাকে ভারসাম্যহীন করে তোলে।
শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা ভারসাম্যহীন হলে, রোগী বিরক্ত এবং ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করেন।
হঠাৎ ওজনের পরিবর্তনও এর একটি লক্ষণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে হঠাৎ করে ওজন কমতে বা বাড়তে শুরু করে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে খুব তৃষ্ণা পায়। সারাদিনে বেশ কয়েকবার প্রস্রাব পায়।
হাই ব্লাড সুগারে খিদে বেশি পায় । অন্যদিকে, লো ব্লাড সুগারে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে।
লো ব্লাড সুগারে মাথায় খুব যন্ত্রণা হতে পারে । কখনো সখনো মাথা ঘুরতে পারে এবং মূর্ছাও অনুভূত হতে পারে। এমনকী বুকে ব্যথা বা জ্বালাপোড়াও অনুভূত হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -