ওয়েব সিরিজ দেখার নেশা ক্রমশ বাড়ছে? কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন 'বিঞ্জ ওয়াচিং'- এর প্রবণতা?

Binge Watching: সপ্তাহ শেষে কাজের চাপ থেকে মুক্তির জন্য নিঃসন্দেহে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখুন, একা বা পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে বিঞ্জ ওয়াচিংও করুন। কিন্তু অভ্যাস বা নেশা না হলেই আপনার জন্য মঙ্গলের।

প্রতীকী ছবি, ছবি সূত্র- পিক্সেলস

1/10
বিঞ্জ ওয়চিং বলা ভাল ফোন ঘাঁটার, ওয়েব সিরিজ, সিনেমা গোগ্রাসে গিলে ফেলার মতো অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে সবার আগে অন্য কাজে নিজেকে যুক্ত রাখার ব্যবস্থা করুন।
2/10
বিভিন্ন কাজে নিজেকে যুক্ত বা ব্যস্ত রাখলে আর টানা সিরিজ, সিনেমা দেখার সময় থাকবে না। তাই কিছুটা হলেও নেশ কমবে।
3/10
বিঞ্জ ওয়াচ করতে বসলে অদ্ভুত ভাবেই ক্লান্তি দূরে সরে যায়। কারণ এই সময় ডোপামিন নির্গত হয়। তার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি বা ফোনের সামনে অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনি। যদিও পরবর্তীতে সমস্যা দেখা যায়।
4/10
অ্যাপ ব্লকার বলে একটি প্রযুক্তি রয়েছে। এর ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্লকার ফিচার বিভিন্ন অ্যাপের ক্ষেত্রে আপনার স্ক্রিন টাইম নির্দিষ্ট বা সীমিত করে দেবে। প্রতিদিনের নিরিখে ওই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করলে আপনি আর ওই অ্যাপে কোনও কনটেন্ট দেখতে পাবেন না।
5/10
ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখতে বসলে নিজের ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। এর ফলে একটানা নাগাড়ে কিছু দেখে যাওয়ার অভ্যাস থেক দূরে থাকবেন আপনি।
6/10
বিভিন্ন কাজে নিজেকে যুক্ত রাখার কথা শুরুতেই বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি জিম করতে পারেন। বাড়িতেই যোগাসন বা বিভিন্ন ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। অনেকের বাগানের শখ রয়েছে। সেখানেও সময় দিতে পারেন। এর ফলে আপনার মনঃসংযোগ বিঞ্জ ওয়াচিং থেকে সরে অন্যদিকে যাবে।
7/10
যে সমস্ত স্ট্রিমিং অ্যাপে আপনি সিনেমা, ওয়েব সিরিজ ইত্যাদি দেখেন সেখানে সেটিংসে গিয়ে অটো-প্লে অপশন বন্ধ করে দিন। এর মাধ্যমেও বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের প্রবণতা কিছুটা কমাতে পারবেন আপনি।
8/10
এবার একটু জেনে নেওয়া যাক নাগাড়ে সিনেমা, সিরিজ দেখলে অর্থাৎ সময় সুযোগ পেলেই বিঞ্জ ওয়াচ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে আপনার।
9/10
সাধারণত রাত জেগে বিঞ্জ ওয়াচিংয়েরই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে রাতের ঘুমে সমস্যা হতে পারে। টানা রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ, খেলা কিছুই দেখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। রাতে ভালভাবে ঘুম না হলে সারাদিন ঝিমানি ভাব থাকবে। কাজে অনীহা দেখা দেবে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন আপনি।
10/10
বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের সঙ্গে আসে মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা। অর্থাৎ রাত জেগে কিছু দেখার সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে মুখও। মিডনাইট স্ন্যাকিং মানেই মেনুতে থাকে চিপস, পপকর্ন, কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম বা বিভিন্ন প্যাকেটজাত ফ্রায়েড ফুড। এইসব খাবারই স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা।
Sponsored Links by Taboola