Sri Ramakrishna Story: হিংসা, খুনোখুনিতে কি জয়লাভ সম্ভব ? এক গল্পেই বুঝিয়ে দেন শ্রীরামকৃষ্ণ
এক মাঠে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ ছিল। একদিন একটি ব্রহ্মচারী সেই মাঠের পথ দিয়ে আসছিল। তখন সাপটা ফণা তুলে দৌড়ে আসে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু কাছে আসতে না আসতে ব্রহ্মচারী একটি মন্ত্র পড়েন। অমনি সাপটা কেঁচোর মতন হয়ে গেল। ব্রহ্মচারী বললেন, ওরে, তুই কেন হিংসা করে বেড়াস, আয় তোকে মন্ত্র দিই।
সাপটা মন্ত্র পেয়ে গুরুকে প্রণাম করল। গুরু বললেন, এই মন্ত্র জপ কর, আর কারও হিংসা করিস না। ব্রহ্মচারী যাবার সময় বললেন, আমি আবার আসবো।
এইরকম কিছুদিন যায়। রাখালেরা দেখে যে সাপে আগে কামড়াতে সেটা এখন ঢ্যালা মারলে রাগ করে না, যেন কেঁচোর মতন হয়ে গেছে।
একদিন এক রাখাল ল্যাজ ধরে খুব ঘুরপাক দিয়ে তাকে আছড়ে ফেলে দিল। ব্যথায় সাপটা পড়ে রইল। রাখালরা মনে করল যে সাপটা মরে গেছে।
তারা চলে যাওয়ার পর সাপের চেতনা হল।অতি কষ্টে তার গর্তের ভিতর চলে গেল সে। এর পর থেকে খুব খিদে পেলে তবেই সে গর্তের বাইরে আসত। ধীরে ধীরে চেহারা শুকিয়ে গেল তাঁর।
প্রায় এক বছর পরে ব্রহ্মচারী সেই পথে এলেন। সাপের খোঁজ করতে রাখালেরা বললে, সাপটা মরে গেছে। ব্রহ্মচারীর সে কথা বিশ্বাস হলো না! তিনি নাম ধরে ডাক দিতেই গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো সাপ।
ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করলেন তুই এত রোগা হয়ে গিয়েছিস কেন? সাপ বলল, ঠাকুর আপনি আদেশ করেছেন— কারও হিংসা কোরো না। তাই পাতাটা ফলটা খাই বলে বোধ হয় রোগা হয়ে গিয়েছি!
ব্রহ্মচারী বললে, শুধু না খাওয়ার দরুন এরূপ হয় না, আরো কারণ আছে, ভেবে দেখ। সাপটার মনে পড়লো যে রাখালেরা আছাড় মেরেছিল। তখন সে সে কথা বলল
সাপ বলল, জানে না যে আমি কাউকে কামড়াব না। কোনও অনিষ্ট করবো না।
ব্রহ্মচারী বললে, ছি! তুই এতো বোকা আপনাকে রক্ষা করতে জানিস না। আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করতে নয়! ফোঁস করে তাদের ভয় দেখাস নাই কেন?
‘দুষ্টু লোকের কাছে ফোঁস করতে হয়, তাদের ভয় দেখাতে হয়, পাছে অনিষ্ট করে। তাদের গায়ে বিষ ঢালতে নাই, অনিষ্ট করতে নাই।’ অর্থাৎ অনিষ্ট করে কখনও কিছুতে জয়লাভ সম্ভব নয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -