Health Tips: মন খারাপেও মুখ চলা বন্ধ হয় না! দুষ্টু খিদে ক্ষতি করে অনেক, যেভাবে আটকাবেন নিজেকে...
অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলেই খিদে পায় না। দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা এবং মনের অবস্থা ঠিক না থাকলেও, অনেক সময় মুখ চলতে থাকে আমাদের। এমন সময় আর ডায়েটের কথা মাথায় থাকে না। নিজের অজান্তেই হাত চলে যায় খাবারের দিকে। মুখ চালিয়েই পালানোর রাস্তা খুঁজি আমরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। বিশেষজ্ঞরা এই খিদেকে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে আবেগের খিদেও রয়েছে। মনের অবস্থা ঠিক না থাকলে চকোলেট, আইসক্রিম, চিপস বা উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারে আশ্রয় খোঁজেন অনেকে।
পেট ভরা থাকলেও, অনেক সময় মুখ চালিয়ে যাই আমরা। এই খিদেকে নির্বুদ্ধিতার খিদে বলা হয়। থামার কথা না ভেবে গোগ্রাসে খাবার কার্যত গিলতে থাকি আমরা। আবার সমাজের থেকে দূরে, একা একা বাড়িতে বসেও গোগ্রাসে খাবার উদরস্থ কির আমরা। একাকীত্ব বোধ থকে এমনটা হয়।
কিন্তু খেয়ে তো নিই, পরে সেই নিয়ে আফশোসেরও শেষ থাকে না। খানিকটা হীনম্মন্যতাও জড়িয়ে থাকে তার সঙ্গে। মন খারাপ হলে এমন খাওয়া সম্ভব কিনা, প্রশ্ন করি নিজেকে। আবার কতটা খেয়ে ফেললাম, কতটা ক্যালরি গেল, তাও ভাবিয়ে তোলে।
এক্ষেত্রে নিজেকেই সতর্ক হতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে ঠিক কী পরিস্থিতিতে এমন ‘যা পাই খাই’ অনুভূতি ভর করে মনে, তা প্রয়োজনে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখারও পক্ষপাতী তাঁরা, যাতে পরের বার এমন হলে সতর্ক হয়ে যাই নিজে থেকেই।
খাবারের পরিবর্তে মন খারাপের সময় বিকল্প আশ্রয়ও খোঁজা যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে ধ্যান বা প্রাণায়াম, শরীরচর্চা অথবা ছবি আঁকা, নিজের শখের উপর মনোনিবেশ করার কথা বলেন তাঁরা।
দিনের কোন সময়, কী খাবেন, কতটা খাবেন, তার ছক কষে রাখারও পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, কড়া নিয়ম মেনে চললে, মনও তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। সেক্ষেত্রে উল্টোপাল্টা খাবারের প্রতি আসক্তি আসে না।
দুষ্টু খিদে তাড়ানোর ক্ষেত্রে জলপানের উপরও জোর দেওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতো, সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করলে শরীরে জলের জোগানে ঘাটতি পড়বে না। এতে বাড়তি কিছু খাওয়ার ইচ্ছাও হবে না।
মানসিক চাপ এবং তা থেকে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার ইচ্ছাকে দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, দিনে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমালে দুশ্চিন্তা ততটা কাবু করতে পারে না আমাদের। মন ভাল থাকে। যখন তখন খাওয়ার ইচ্ছেও জাগে না।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, নিজের ভাল-মন্দ নিজেকেই বুঝতে হয়। মন খারাপ হতেই পারে। কিন্তু তা থেকে রেহাই পেতে উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে নিলে নিজের শরীরেই তার প্রভাব পড়বে। তাই যতই মন খাবারের দিকে যাক না কেন, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার দায় আমাদের নিজেদেরই। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -