মানসিক চাপে ভাঙে শরীর-স্বাস্থ্য, বাঁচবেন কীভাবে
আজকের এই ইঁদুর দৌড়ের জগতে মানসিক অবসাদ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাস হিসেবে পরিচিত এপ্রিল। সেই মাসে দাঁড়িয়েও আট থেকে আশি প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছে অপ্রত্যাশিত মানসিক চাপের। যার জেরে দেখা দিচ্ছে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা। (ছবি সৌজন্য- গেটি)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমানসিক চাপের জেরে প্রচুর নতুন নতুন রোগও সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পুরো শরীরে মানসিক অবসাদের ছাপ পড়ছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মত তাঁদের। (ছবি সৌজন্য- গেটি)
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, মানসিক চাপের ফলে বদলে যেতে পারে ঘুমের ধরনও। অবসাদগ্রস্ত মানুষরা ঠিকভাবে ঘুমোতেও পারেন না। যার ফলে হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত রোগ যেমন হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। (ছবি সৌজন্য- গেটি)
দীর্ঘদিনের অবসাদ শরীরের উপর বিশাল বড় প্রভাব ফেলে। এর জেরে কোর্টিসোল এবং অ্যাড্রিনালিনের মতো মানসিক চাপ বাড়ানোর হরমোনগুলোরও বৃদ্ধি ঘটে যা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত করে। (ছবি সৌজন্য-গেটি)
মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে খাবার হজম না হওয়ার সমস্যারও। বিরক্তিকর পেটের সমস্যা বা আইবিএস এবং গ্যাসটাইটিসও হয় যার জেরে। শরীরে অসহ্য জ্বালাপোড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘদিনের অবসাদের ফলে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। যার ফলে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায় প্রজনন সমস্যা। (ছবি সৌজন্য- গেটি)
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিখ্যাত বিমা সংস্থার তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ভারতে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মানসিক অবসাদে ভোগেন। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৭৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রতিদিন অন্তত মানসিক চাপের একটি উপসর্গ দেখা যায়। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই))
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন অবসাদ? মানবিক গুণগুলির অনুশীলন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস,নিয়মিত ব্যায়াম ও সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি অবসাদের মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেই মত চিকিৎসকদের। তাই মনকে ভালো রাখতে এগুলো খুবই জরুরি। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
তাঁদের কথায়, মানবিক গুণগুলির অনুশীলন, ধ্যান বা মেডিটেশন ও প্রাণায়ামের ফলে নিয়ন্ত্রিত হয়ে অবসাদ। এর পাশাপাশি প্রকৃতির মাঝে কাটানো সময়ও মানুষকে সাহায্য করে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
মানসিক অবসাদ যখন মাত্রাছাড়া হয়ে যায় তখন একে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। এতে খুব সহজেই মনের পাশাপাশি বাঁচানো যায় শরীরকেও। (ছবি সৌজন্য-গেটি)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -