Nightmares: চোখ বুজলেই দুঃস্বপ্ন দেখেন! এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ
ঘুমের মধ্যে শুধু স্বপ্ন দেখি না আমরা, হানা দেয় দুঃস্বপ্নও। এতটাই ভয়ঙ্কর হয় দুঃস্বপ্ন যে ঘুম ভেঙে উঠে বসি আমরা। সারাদিন তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তাও করি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকখনও সখনও দুঃস্বপ্ন দেখা অস্বাভাবিক নয় যদিও, কিন্তু কেউ কেউ আবার প্রায়শই দুঃস্বপ্ন দেখেন। এই দুঃস্বপ্নের আসল কারণ কী, তার নানা ব্যাখ্যা রয়েছে।
অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উৎকণ্ঠা দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে। এতে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে, ব্যাঘাত ঘটে ঘুমেও। শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে এবং তা থেকেই দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।
অতীতের কোনও ঘটনা হয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়। ঘুমের উপরও তার প্রভাব পড়ে। দুঃস্বপ্ন দেখা হতে পারে তার ফলশ্রুতি।
অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলেও দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন ঘন ঘন। শুদু দুঃস্বপ্ন দেখাই নয়, শ্বাসকষ্টও শুরু হতে পারে। কারণ শরীরে কার্বন ডই অক্সাইডের মাত্রা সেই সময় বেড়ে যায়।
মদ্যপান বা মাদক সেবনের অভ্যাস থাকলেও দুঃস্বপ্ন ভর করে ঘন ঘন। ঘুমের ওষুধ খান যাঁরা, তাঁরাও দুঃস্বপ্ন দেখেন প্রায়শই।
অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয় আমাদের। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম হওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কিন্তু কাজের চাপে হোক বা অন্য কারণে, সময়ে ঘুমাতে যেতে পারি না আমরা। এই অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্যও দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন।
কোন জায়গায়, কোন অবস্থায় ঘুমাচ্ছেন, তার উপরও নির্ভর করে অনেক কিছু। বিছানা যদি আামদায়ক না হয়, তাপমাত্রার ওঠাপড়া দেখা যায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকে, সেক্ষেত্রেও দুঃস্বপ্ন দেকেন অনেকে।
সাধারণত রাতে হালকা খাবার খাওযার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক সময়ই বেশি খেয়ে ফেলি আমরা। তা থেকে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের মধ্যে শরীরেও সমস্যা তৈরি হয়। তা থেকেও দুঃস্বপ্ন ভর করতে পারে।
কেউ যদি নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখেন, চিকিৎসার ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় এপিলেপসি। পারকিনসন্স এবং আলজাইমার্স রয়েছে যাঁদের, তাঁরাও দুঃস্বপ্ন দেখেন। এতে ঘুমের উপর মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -