Curly Hair Care: চুলের কোঁকড়ানো ভাব বজায় রাখতে কী কী করবেন, কী কী করবেন না? রইল সহজ কিছু টিপস
অনেকে শখে চুলের স্টাইল বদলানোর জন্য চুল কার্লি করেন অর্থাৎ চুলে কোঁকড়া ভাব রাখেন। কারও বা চুল জন্মগতভাবে কোঁকড়ানো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএমনিতে সারাবছরই চুলের যত্ন করা প্রয়োজন। কিন্তু আপনার চুল যদি কোঁকড়ানো হয়, তাহলে চুলের পরিচর্যায় একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়।
চুলের কোঁকড়ানো ভাব সেটা জন্মগত হোক কিংবা স্টাইল করে তৈরি করা হোক- দু'ক্ষেত্রেই চুলের এই কার্ল বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।
চুলের পরিচর্যা এবং যত্নের বিষয়ে আমরা অনেক বিষয়েই খেয়াল রাখি। তবে কোঁকড়ানো চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন, সেই প্রসঙ্গে কয়েকটি সহজ টিপস জেনে নিন।
কোঁকড়ানো চুল আঁচড়ানোর জন্য সঠিক চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। কারণ কোঁকড়ানো চুলে সহজে জট পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে যত্ন করে মোটা দাঁড় যুক্ত চিরুনি দিয়ে চুল না আঁচড়ালে জট পড়ে চুলে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোঁকড়ানো চুল দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। কিন্তু এই চুল সঠিক ভাবে যত্ন না করলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতেই কোঁকড়ানো চুল মূলত রুক্ষ, শুষ্ক হয়। জট পড়ে ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।
যেহেতু কোঁকড়ানো চুল খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায় তাই চুলে ময়শ্চারাইজড ভাব অর্থাৎ আর্দ্র ভাব বজায় রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তেল মালিশ করতে হবে চুলে এবং স্ক্যাল্পে। এছাড়াও উপযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা দরকার।
কোঁকড়ানো চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে গরম জল ব্যবহার না করাই ভাল। এর ফলে চুল আরও রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। আর্দ্র ভাব দূর হয়। শীতের দিনেও হাল্কা গরম জল ছাড়া কিছু চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার না করাই ভাল।
যাঁদের চুল কোঁকড়ানো তাঁরা রাতে ঘুমনোর সময় চুলে বিনুনি করে বা চুল বেঁধে ঘুমোতে পারলে ভাল। নাহলে কোঁকড়ানো চুল বালিশের সঙ্গে ঘষা খেয়েও ভঙ্গুর হতে পারে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। অতএব সতর্ক থাকুন।
চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল এমনিতেই রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। তাই যাঁদের চুল কোঁকড়ানো তাঁরা চুল শুকানোর জন্য এইসব হিটিং টুল ব্যবহার না করাই ভাল। এছাড়াও চুলে কোনও স্টাইলিং টুল ব্যবহার না করলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -