করোনা মুক্ত হয়ে প্রথম কাজ হোক টুথব্রাশ বদল, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
করোনার ত্রাস চলছে সারা দেশে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। একাধিবার চরিত্র পরিবর্তন করে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে করোনা। যাঁরা করোনা মুক্ত হচ্ছেন তাঁরা ফের আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। তাই তাঁদেরও বিশেষ সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকরোনা মুক্ত হওয়ার পর অবশ্যই পাল্টানো উচিৎ নিজের দাঁত মাজার ব্রাশটি। কোভিড সেরে গেলে যা করতে হবে তার মধ্যে প্রথম কাজ হোক এটা। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার থেকে অনেকটাই রক্ষা করবে এই পন্থা। যাঁরা বাড়িতে একই শৌচালয় ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও পরিবারের অন্য সদস্যরাও সুরক্ষিত থাকবেন।
দাঁত মাজার ব্রাশ বা জিভ পরিষ্কার ব্রাশও বদলে ফেলা উচিত। কয়েকদিনের জন্য নয়, বরং ওই ব্রাশ আর ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএমসি ওরাল হেলথ জার্নালে মুখের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্রাশ ব্যবহারের পরে মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থেকে যেতে পারে। কোভিড মুক্ত হওয়ার পর ফের সংক্রমণ তো বটেই তাছাড়াও মুখের মধ্যে বিভিন্ন রোগও হতে পারে তা থেকে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি ব্রাশ রাখলেও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যেসব রোগীরা ফ্লু, সর্দি-কাশি বা জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদেরও ব্রাশ বদল করা উচিত। দাঁত মাজার ব্রাশ এবং জিভ পরিষ্কার করার ব্রাশ উপসর্গ দেখা দেওয়ার ২০ দিন পর পরিবর্তন করা উচিত বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক।
মুখের ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া মারতে করোনা রোগীদের মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করার কথা বলেন চিকিৎসকদের একাংশ। মাউথ ওয়াশ না থাকলে উষ্ণ গরম জল দিয়েও মুখের পরিষ্কার করা যেতে পারে।
দিনে দুবার ব্রাশ করা মুখের গ্বহরের স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখে। যা করোনা মুক্ত হওয়ার পর খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ছোট ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। হাঁচি, কাশি, কথা বলা, হাসির মাধ্যমে যা এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।
নিজের নাক, চোখ, মুখ হাত দিয়ে ধরার ক্ষেত্রেও নিষেধ করেছে হু। সেক্ষেত্রে ব্রাশ পরিবর্তন করাও মুখের স্বাস্থ্যের মধ্যেই পড়ে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -