World Chocolate Day: মন থেকে শরীর, একাধিক রোগ সারতে পারে এক টুকরো চকোলেটেই!
আজ বিশ্ব চকোলেট দিবস। একাধিক দেশে আজকের দিনটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়। হবে নাই বা কেন? শিশু থেকে বৃদ্ধ- চকোলেট ভালবাসেন না এমন মানুষ পাওয়াই যে দুষ্কর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appচকোলেটের গুণে যেমন সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে তেমন শরীর ভাল রাখে এক টুকরো চকোলেট। বছরে প্রায় ১১ বার সারা বিশ্ব জুড়ে কোথাও না কোথাও চকোলেট দিবস পালন করা হয়। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব চকোলেট দিবস পালন করা হয়েছিল।
মন ভালো করতে এক টুকরো চকোলেট যথেষ্ট । কারণ চকোলেটে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান। যা মানুষের মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কেউ যদি প্রতিদিন প্রায় ৪০ গ্রাম করে ডার্ক চকোলেট খান তাহলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তির শরীরের স্ট্রেস হরমোন অনেকাংশ কমে যাবে।
ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কিছু সক্রিয় জৈব উপাদান যা মানুষের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এইসব উপাদানের তালিকায় রয়েছে পলিফেনলস, ফ্ল্যাভানল প্রভৃতি। এগুলি ক্যানসার রোধ করতে সাহায্য করে।
চকোলেট হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত মহিলাদের। দুধ, চিনি ও মাখন থাকার জন্য চকোলেট খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনকী, আপেলের তুলনায় পাঁচ গুণ ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে চকোলেটে।
স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চকোলেটে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নেচার নিউরোসাইন্সের এক গবেষণা অনুযায়ী, ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তিরা প্রায় তিন মাস উচ্চ ফ্ল্যাভানল যুক্ত কোকোয়া পানীয় পান করেছিলে, তাদের অন্যান্যদের তুলনায় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
চকোলেটের ফ্লাভানলের মধ্যে সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। টানা তিন মাস চকোলেট খেলে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
চকোলেট যেহেতু মিষ্টি জাতীয় খাবার, তাই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে চকোলেট খাওয়া ক্ষতিকর। তাই নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য বজায় রেখে তবেই চকোলেট খাওয়া উচিত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -