Health Tips: বিপদ ডেকে আনবেন নিজেই, দিনের এই সময়ে চা-কফি এড়িয়ে চলুন
ব্যস্ততায় ভরা জীবনে কখনও কখনও হাল ছেড়ে দেয় শরীর। সেই সময় চা বা কফির কাপে চুমুক না দিলেই নয়। একবার, দু'বার নয়, দিনে একাধিক বার চা-কফি পানের অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু যখন তখন চা-কফি পান করা উচিত নয় মোটেই। বিশেষ করে দিনের কিছু সময় চা-কফি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চা বা কফিতে চুমুক না দেওয়াই শ্রেয়। খালিপেটে শরীরে ক্যাফিন গেলে কর্টিসল উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগে দিন কাটে আমাদের। মানসিক চাপ অনুভূত হয়।
খাবারের সঙ্গে চা বা কফি পান না করাই ভাল। এতে অ্যাসিডিটি হতে পারে। সমস্যা হতে পারে হজমে। চায়ের সঙ্গে প্রোটিন খেলে অ্যাসিডিটির জেরে প্রোটিনটি শক্ট হয়ে যায়। হজম হয় না। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এবং পরে চা-কফি পান করুন।
ছুটির দিনে ভাত ঘুমের পর বিকেল ৪টে-৫টা চা বা কফির কাপ চাই-ই চাই! এখনই ত্যাগ করুন এই অভ্যাস। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ছয় ঘণ্টা আগে থেকে ক্যাফিন পান বন্ধ রাখলে ভাল ঘুম হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এতে হজমের সমস্যাও হবে না। তাই বিকেল ৪টের পর চা-কফি পান বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কোনও কিছুই বেশি মাত্রায় ভাল নয়। দিনে দু'কাপের বেশি কফি না পান করাই ভাল। এতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়।
কোলেস্টেরল থাকলে কফি পান না করাই শ্রেয়। এতে ব্যাড কোলেস্টেরল বাড়ে।
চা-কফি নেশায় পরিণত হতে পারে। প্রথমে সপ্তাহে ৪-৫ দিন, পরে তা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এর পরিবর্তে গ্রিন টি-র দিকে ঝুঁকতে পারেন।
রাতে খাওয়ার পর যদি গ্রিন টি-র কাপে চুমুক দিতে ইচ্ছে করে, অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সকালে শরীরচর্চার আগে বা পরে গ্রিন টি পান করতে পারেন। শরীরচর্চার আগে গ্রিন টি পান করলে তাড়াতাড়ি মেদ ঝরে।
ওষুধ খাওয়ার ঠিক পর পরই গ্রিন টি পান করবেন না। চায়ের সঙ্গেই যদি ওষুধ খান, তা বন্ধ করুন। গ্রিন টি এবং ওষুধের রাসায়নিক উপাদান থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -