Subrata Mukherjee Death: সেলুলয়েড থেকে রাজনীতির ময়দান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সর্বত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বর্ণময় জীবনের সমাপ্তি
তাঁর কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটি বলে কিছু ছিল না! কিন্তু দীপাবলির রাতে চিরছুটিতে চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কথা ছিল, শুক্রবার বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু আর ফেরা হল না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শোকযাত্রায় মিলে মিশে গেল সব রাজনীতির রং। ব্যক্তিজীবনে সব রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে, শেষ শ্রদ্ধা জানালেন সকলে। কেওড়াতলা শ্মশানে দেওয়া হয় গান স্যালুট।
আমার প্রিয় বন্ধু চলে গেল'। ভাঙা ভাঙা কণ্ঠেই বন্ধুর কথা বললেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন (Actress Moon Moon Sen)। প্রিয় বন্ধু সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) আর নেই। শুক্রবার মাথায় হাত বুলিয়ে বন্ধু সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিরবিদায় জানালেন মুনমুন সেন (Moon Moon Sen)। ছোটপর্দা থেকে রাজনীতির ময়দান তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বহুবার। সেই বন্ধুই আজ ছেড়ে গেল চিরতরে। মন খারাপ। এ দিন সুব্রত প্রসঙ্গে মুনমুন সেন বলেন, 'আমার প্রিয় বন্ধু চলে গেল। অনেক কালের বন্ধু। সবসময়ে হাসিমুখে থাকত। আজ আর হাসিটা দেখতে পেলাম না।'
একডালিয়া এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বহু বছর ধরে এই দু’টো নাম সমার্থক হয়ে রয়েছে। মন্ত্রী-বিধায়ক নন, এখানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন পাড়ার ছেলে। সবার দাদা। সেই দাদা এভাবে চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। শুধু বারোয়ারি দুর্গাপুজোই নয়, মাতৃসাধক ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২ মাস আগে শেষবার গিয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দিরে। তাঁর প্রয়াণে মন খারাপ সেবায়েত থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের।
পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের ন’পাড়ার একটি স্কুলে পড়াতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাবা অশোকনাথ মুখোপাধ্যায়। ওই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন প্রয়াত মন্ত্রী। নাদনঘাটের যে বাড়িতে সেই সময় থাকতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরিবার, আজ সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্কুলের সহপাঠীদের অনেকে সেখানে প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
একদিকে, বঙ্গ রাজনীতিতে দাপুটে উপস্থিতি, অন্যদিকে ময়দানের দক্ষ প্রশাসক! সুব্রত মুখোপাধ্যায় - নামটার সঙ্গে মিলে-মিশে গিয়েছিল সবুজ-মেরুণ রঙ। মোহনবাগান পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আমৃত্যু।
সত্তরের দশকে প্রিয়-সুব্রত জুটিই হয়ে উঠেছিল বাংলার ছাত্র-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম। তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও একটা নাম। সোমেন মিত্র। ছয়ের দশকের শেষের দিকে, ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সোমেন মিত্র ততদিনে যুব কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা। সেই থেকে মফঃস্বলের ছেলে প্রিয়রঞ্জন এবং সুব্রতর অটুট বন্ধন তৈরি হয় উত্তর কলকাতার দাপুটে সোমেন মিত্রের সঙ্গে।
সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় উঠে আসে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা। সিঙ্গুর আন্দোলনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -