2023 Predictions: ভেঙে টুকরো হবে আমেরিকা, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ইলন মাস্ক, ঘটনার ঘনঘটায় কাটবে ২০২৩!
অতিমারির সঙ্গে লড়াই থামার ইঙ্গিত মিলছে না আপাতত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি পড়ারও ইঙ্গিত নেই এই মুহূর্তে। সেই আবহেই ২০২৩-এর ভবিষ্যদ্বাণী সামনে এল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাশিয়ার দাবি, আগামী বছর বিশ্ব রাজনীতি এবং কূটনীতিতে অচলাবস্থা দেখা দেবে। আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের পুনরায় অন্তর্ভুক্তি, এমনকি ধনকুবের ইলন মাস্ককে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করল রাশিয়া।
টানাপোড়েনের মধ্যেই ২০২২ শেষ হতে চলেছে। নতুন বছরে কী অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সেই আবহেই রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রুশ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করলেন।
দিমিত্রি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধে আসন্ন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর জায়গায় পৌঁছতে পারে যে, ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাস প্রদেশ দু’টি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে।
ধনকুবের থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টেসলা কর্তা ইলন মাস্কও সেই পথে হাঁটতে পারেন বলে দাবি রাশিয়ার। বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধের আবহে আমেরিকার নির্বাচনে নাম লেখাতে পারেন মাস্ক। এমনকি বেশ কিছু প্রদেশে জিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয়ী হতে পারেন।
রাশিয়ার দাবি, গৃহযুদ্ধের ফলে মেক্সিকো এবং টেক্সাস মিশে যেতে পারে অথবা পরস্পরের শরিক হয়ে উঠতে পারে। গৃহযুদ্ধের শেষে সেখানে পৃথক শাসনব্যবস্থা কায়েম হতে পারে।
জার্মানি-ফ্রান্স সংঘাত নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন দিমিত্রি। ২০২৩ সালে দুই দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, ইউরোপ বিভক্ত হয়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন। পোল্যান্ডের আরও বিভাজন ঘটবে বলেও দাবি তাঁর।
দিমিত্রির দাবি, ব্রেক্সিটের পর ফের ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রত্যাবর্তন ঘটবে ব্রিটেনের। তার পরই ভেঙে পড়বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা হিসেবে ইউরোর ব্যবহারেও ইতি পড়বে।
করোনার ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি এই মুহূর্তে সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছর আমেরিকা এবং ইউরোপ থেকে তাবড় স্টক মার্কেট এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এশিয়ার দিকে সরবে।
দিমিত্রির দাবি, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্বব্যাঙ্ক ভেঙে পড়বে। আন্তর্জাতিক সঞ্চিত মুদ্রা হিসেবে ডলার এবং ইউরোর ব্যবহার বন্ধ হবে। ব্যবহার বাড়বে ডিজিটাল মুদ্রার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -