Second Marriage: আইনি বিচ্ছেদ হয়নি, কিন্তু ছেড়ে চলে গিয়েছেন প্রথম স্ত্রী, দ্বিতীয় বিয়ের জন্য কত বছর অপেক্ষা?
জন্ম-জন্মান্তরের জন্য পরস্পরের হাত ধরে রাখার অঙ্গীকার। কিন্তু অন্য সব কিছুর মতো, অনেক ক্ষেত্রে কয়েক বছর যেতে না যেতে মেয়াদ ফুরোয় বিয়ের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅনেক ক্ষেত্রে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও, আইনি সিলমোহর পড়ে না বিবাহবিচ্ছেদে। তার জন্য একাকী জীবন কাটিয়ে দেন অনেকে। আবার প্রথম পক্ষের বিয়েতে ইতি না টেনে, দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসাও ঝক্কির বিষয়।
তাই প্রথম পক্ষের বিয়ে যদি ভেঙে যায়, আইনি বিচ্ছেদ ছাড়া যদি স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ছেড়ে চলে যান, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য কত দিন অপেক্ষা করা উচিত স্বামীর? এই প্রশ্ন আজকের নয়। সম্প্রতি তার উত্তর মিলেছে।
প্রথম বিয়েতে ইতি না টেনে, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি নেই ভারতে। অন্যথায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারায় অপরাধী গন্য হতে হয়। প্রথম পক্ষের স্বামী বা স্ত্রী বেঁচে থাকলে, তাঁর থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে তবেই দ্বিতীয় বার বিয়ে করা যায়।
কোনও কারণে যদি আইনি বিচ্ছেদ না হয়, কিন্তু স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রেও আইনত প্রথম পক্ষের স্ত্রীই আইনত যাবতীয় অধিকার ভোগ করেন।
কিন্তু প্রথম পক্ষের স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে, সাত বছর পর্যন্ত তাঁদের পুনর্মিলন যদি না হয়, বা দু’জনের মধ্যে একজনের যদি খোঁজ-খবর না থাকে, সেক্ষেত্রে অন্য জন দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের একটি মামলায় এমনই জানিয়েছে আদালত। ওই মামলায় ভারতীয় সেনায় কর্মরত এক জওয়ান মারা যান। তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পেনশনের আবেদন জানালে জানা যায়, প্রথম পক্ষের স্ত্রী, যাঁর সঙ্গে মৃতের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল, তাঁর অ্যাকাউন্টে পেনশন জমা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আবেদনকারী দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, প্রথম পক্ষের স্ত্রী অনেক আগেই স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তার পরই ওই জওয়ান ফের বিয়ে করেন। সরকারি কাগজপত্রে ওই জওয়ান যদিও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আপডেট করাননি।
গিয়েছিল, তাঁর অ্যাকাউন্টে পেনশন জমা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, প্রথম পক্ষের স্ত্রী অনেক আগেই স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তার পরই ওই জওয়ান ফের বিয়ে করেন। সরকারি কাগজপত্রে ওই জওয়ান যদিও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আপডেট করাননি। ঠিক কত বছর আগে প্রথম স্ত্রী ওই জওয়ানকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তা যদিও জানা যায়নি। তবে আদালত সাত বছরের ব্যবধানের কথা জানিয়েছে।
আইনজীবী মাধুরী তিওয়ারি জানিয়েছেন, ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ অধিনিয়ম অনুযায়ী, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ বলে গন্য হয় না। দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর পেনশনের উপরও দাবি জানাতে পারবেন না। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়েতে যদি সন্তান হয় এবং তার স্কুল বা জন্মের শংসাপত্রের মতো সরকারি কাগজপত্রে পিতার জায়গায় ওই ব্যক্তির নাম লেখা থাকে, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী স্বামীর অর্জিত সম্পত্তির উপর দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু স্বামীর পেনশনের উপর অধিকার থাকবে না দ্বিতীয় স্ত্রীর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -