Dries van Agt: দীর্ঘ ৭০ বছরের দাম্পত্য শেষে স্বেচ্ছায় সহমরণ, দৃষ্টান্ত রচনা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও স্ত্রীর
নয় নয় করে দীর্ঘ ৭০ বছরের দাম্পত্য। যাবতীয় ঝড়ঝাপটা সামাল দিয়েছেন একসঙ্গেই। একসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী। স্বেচ্ছায় একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করলেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appনেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভান আঘ্ত। তাঁর স্ত্রী ইউজিনি। দু’জনেরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। চলতি মাসে, নিজেদের গ্রামের বাড়িতে হাতে হাত রেখে, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত।
দ্রিস একটি মানবাধিকার সংস্থা চালাতেন। তাদের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দম্পতির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, দ্রিস এবং ইউজিনি, দু’জনই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। স্বেচ্ছায় একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দ্রিস। ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির প্রথম নেতাও তিনি। গত সোমবার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানানো হয়েছে তাঁর সংস্থার তরফে। ছবি: সংগৃহীত।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রিয় স্ত্রীর হাতে হাত রেখে মারা গিয়েছেন দ্রিস। দীর্ঘ ৭০ বছর বিপদে-আপদে পরস্পরের সঙ্গে থেকেছেন তাঁরা। মৃত্যুর সময়ও পরস্পরের হাত ধরে রেখেছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৯ সালে ব্রেন হ্যামরেজ হয় দ্রিসের। তার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি আর। স্ত্রী ইউজিনিও অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু পরস্পরকে ছাড়া বাঁচার কথা ভাবতেও পারেননি তাঁরা। তাই একসঙ্গে মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয় মানুষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় সহমরণ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেদারল্যান্ডসে। এক্ষেত্রে একই সঙ্গে দু’জনের শরীরে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ২০২২ সালে এই উপায়ে নেদারল্যান্ডসে ২৯ যুগল স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬, ২০২০ সালে ১৩। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয় মানুষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চাইলেই, তার বাস্তবায়ন হয় না। সরকারি সংগঠনের কাছে আবেদন জানাতে হয় সেই মর্মে। সেই সংগঠনেপ মুখপাত্র ইলকে সোয়ার্ৎ জানিয়েছেন, প্রতি বছর নেদারল্যান্ডসে ১০০০-এর বেশি যুগল সহমরণের আবেদন জানান। ছবি: সংগৃহীত।
তবে যে বা যাঁরা আবেদন জানান, প্রথমে তাদের আবেদন খতিয়ে দেখা হয়। কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, কেউ চাপ দিচ্ছেন কি না, খতিয়ে দেখা হয় তা-ও। ছবি: পিক্সাবে।
এর পর, পৃথক ভাবে আবেদনকারী যুগলদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন যুক্তিসঙ্গত কারণ যদি পাওয়া যায়, তবেই ছাড়পত্র মেলে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যায়, কোনও উপায়েই রেহাইয়ের রাস্তা খুঁজে পান না যুগলরা, স্বেচ্ছায় সহমরণের আবেদন জানান যুগলরা। ছবি: ফ্রিপিক।
২০০২ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় সহমরণ আইনত স্বীকৃত। তবে এর জন্য ছ’টি শর্তপূরণ করতে হয় আবেদনকারীদের, যার মধ্যে রয়েছে, অসহনীয় যন্ত্রণা, নিষ্কৃতীর কোনও উপায় না থাকা, দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, শারীরিক অক্ষমতা, সুস্থতার কোনও উপায় না থাকা এবং ব্যক্তিবিশেষের স্বাধীন ইচ্ছা। ছবি: ফ্রিপিক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -