Himachal Rain: লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যা, ধস-হড়পা বানের বলি অনেক, সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি হিমাচলে
কয়েক মাস আগেই মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছিল। আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে হিমাচল প্রদেশ। এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টি। তাতে ফের ধস, হড়পা বানে বলি হলেন অনেকে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপদ বেড়েছে আরও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগত এক সপ্তাহেই কমপক্ষে ৬১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে চলেছে লাগাতার। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বিপুল। এই ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তত একটি বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু।
হিমাচলের পাহাড়ি এলাকায় এমন একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। রাজ্যের রাজধানী শিমলার একাধিক জেলাতেই ধস নেমেছে জায়গায় জায়গায়। সামার হিল, কৃষ্ণনগর, ফগলিতে ধসে মারা গিয়েছেন প্রায় ১২ জন।
বুধবার সকালেই সামার হিলে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। কালকা-শিমলা রেল রুটে মাটি ধসে গিয়ে শূন্যে ঝুলতে দেখা গিয়েছে লোহার রেললাইনকে।
সামার হিল থেকে মোট ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। এ ছাড়াও একটি মন্দির ভেঙে পড়েছে। তার ধ্বসস্তূপের নীচেও দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
কৃষ্ণনগরে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে কমপক্ষে আটটি বাড়ি। তাতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকার একাধিক বাড়ি খালি করে দিয়েছে প্রশাসন। সোলানে আবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে সোমবার।
নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে ৮০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাংরা-সহ অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকাগুলিতে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে।
বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখু। রাস্তাঘাট, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি মেরামত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে এক বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলের স্কুল এবং কলেজগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশ ইউনিভার্সিটিও আপাতত পঠনপাঠন বন্ধ রেখেছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু'টি দল পৌঁছেছে সেখানে। একটি গিয়েছি শিমলায়, অন্যটি ক্যাংরায়। এর পাশাপাশি বায়ুসেনা, সেনা এবং ইন্দো-তিব্বত সীমা পুলিশও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -