Kalicharan Arrested: গাঁধীজী সম্পর্কে কুমন্তব্যের জন্য গ্রেফতার, কে এই কালীচরণ?
ছত্তীসগড়ের ধর্ম সংসদে মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বিগত কিছুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে ছিলেন তথাকথিত সন্ত কালীচরণ মহারাজ। আজ তাঁকে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো থেকে গ্রেফতার করেছে রায়পুর পুলিশ। মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন কালীচরণ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআসল নাম অভিজিৎ ধনঞ্জয় সরাগ। মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে এসেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের শিবাজী নগরের পঞ্চবাংলা এলাকায়।
সাধারণ পরিবারে জন্ম কালীচরণের। তিনি ভাবসার সমাজের। কালীচরণের বাবা একটি মেডিক্যাল দোকান পরিচালনা করেন। আকোলায় তরুণদের একাংশের ওপর কালীচরণের প্রভাব রয়েছে।
কালীচরণের পড়াশোনা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। ছোট থেকে দুরন্তপনার কারণে তাঁর বাবা-মা তাঁকে ইন্দোরে মাসির বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ইন্দোরে এসে হিন্দি বলতে শেখেন এবং ম্যাথুজি মহারাজের আশ্রমে দীক্ষা নেন। সেখানে তাঁর নামকরণ হয় কালীচরণ মহারাজ। নিজেকে কালীপুত্র বলেও দাবি করেন তিনি।
২০১৭-তে আকোলা পুর নির্বাচনেও ভাগ্য পরীক্ষা করেন কালীচরণ। কিন্তু ভোটে হেরে য়ান তিনি। দেড় বছর আগে একটি ভাইরাল ভিডিও-র সৌজন্য আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন কালীচরণ। ওই ভিডিও শিবতাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করতে দেখা যায় তাঁকে।
এবার জাতির জনক মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি। কালীচরণ গাঁধীজী সম্পর্কে রায়পুরের ধর্ম সংসদে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রায়পুরের টিকরাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি ৮.৫১ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, যে কথা তিনি বলেছেন, তা নিয়ে তাঁর কোনও আফসোসও নেই। শুধু তাই নয়, মহাত্মা গাঁধীর বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। সর্দার বল্লভভাই পটেলকে প্রধানমন্ত্রী না করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কালীচরণের দাবি, মহাত্মা গাধী জাতির জনক নন, তিনি পরিবারতন্ত্রের জনক।
গত ২৬ ডিসেম্বর ধর্ম সংসদে মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্যের পরই কালীচরণ ছত্তীসগড়ে থেকে ফেরার হয়ে যান। পরের দিন ভিডিও প্রকাশ করে জানান, মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। এই ভিডিও-র পর পুলিশের সাইবার সেল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত দেখা যায়, কালীচরণের লোকেশন খাজুরাহো। এরপর পুলিশের তিন-তিনটি দল পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রায়পুর থেকে ফেরার হওয়ার পর কালীতরণের ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষবার খাজুরাহোতে ফোন চালু করেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ আজ ভোরে কালীচরণকে গ্রেফতার করে।
এদিন ভোর চারটে নাগাদ কালীচরণকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধের পর তাঁকে নিয়ে রায়পুরে পৌঁছবে পুলিশের দল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -