Shastri's Death Anniversary: বিয়ের পণ চরকায় বোনা ধুতি, খাদ্যসঙ্কটে বেতন নিতেন না শাস্ত্রী
হত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। সেখান থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দু’বছরের মাথায় মৃত্যু। তার পর ৫৬ বছর কেটে গিয়েছে। লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে। জেনে নিন স্বাধীন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজন্মসূত্রে পাওয়া পদবী শ্রীবাস্তব। ১৯২৫ সালে বারাণসীর কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হওয়ার পর ‘শাস্ত্রী’ উপাধি পান। আজীবন তা-ই ব্যবহার করেন।
জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন শাস্ত্রী। ১৯৬৫ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় দেশে খাদ্যসঙ্কট দেখা দিলে বেতন নেওয়া বন্ধ করে দেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পরিবহণ মন্ত্রক সামলেছেন। গণপরিবহণে ভারতীয় মহিলাদের চালক এবং কন্ডাক্টর হওয়ায় ছাড়পত্র দেন তিনিই। ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ তাঁরই স্লোগান।
তখনকার দিনে পণপ্রথা চালু ছিল। কিন্তু নিজের বিয়েতে পণ হিসেবে শুধুমাত্র চরকায় বোনা একটি খাদির ধুতি নিয়েছিলেন শাস্ত্রী।
পুলিশমন্ত্রী থাকাকালীন লাঠিচার্জের পরিবর্তে জল ছিটিয়ে বিক্ষোভ হটানোর ভাবনা তাঁরই। তারই পরিবর্তিত রূপ জলকামান।
মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গে লবণ সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। তার জন্য দু’বছর জেলও খাটেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতে পড়াশোনা আর এগিয়ে নিয়ে যাননি। অসহযোগ আন্দোলনে শামিল ছিলেন।
১৯৬৬ সালে রাশিয়ার তাসখন্দে ভারত-পাকিস্তান শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন শাস্ত্রী। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আজও অভিযোগ ওঠে।
পরিবারের চাপে ১২ হাজার টাকার ফিয়াট গাড়ি কিনেছিলেন শাস্ত্রী। তার জন্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্য়াঙ্ক থেকে ৫ হাজার টাকা ঋণ নিতে হয় তাঁকে। শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ব্যাঙ্কের লোক দরজায় কড়া নাড়লে পেনশনের টাকা থেকে তা মেটান শাস্ত্রীর স্ত্রী। লালবাহাদুর শাস্ত্রী মেমোরিয়ালে রাখা আছে সেই গাড়িটি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -