Farmers protest:ঘরে ফিরছেন কৃষকরা, পথে ফুল-মালা দিয়ে অভ্যর্থনা
৩৭৮ দিনের আন্দোলন শেষে শনিবার থেকে ঘরে ফিরছেন কৃষকরা। দিল্লিতে বিজয়োল্লাস। সোনিপথে আস্তানা গোটানোর কাজ শুরু আগে থেকেই শুরু হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপাশাপাশি, দেশজুড়ে বিজয় উত্সব পালনের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতায় গত একবছর ধরে দিল্লি সংলগ্ন গাজিপুর, টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমানায় চলছিল কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ।
প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর, সংসদে পাস হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। পাশাপাশি, কেন্দ্রের তরফে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ একাধিক দাবি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন ও কৃষকদের বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি মেলে। এরপরই কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
এরপর প্রায় এক বছর পর দিল্লির সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমা থেকে তাঁবু ও অস্থায়ী বাস উঠিয়ে শনিবার থেকেই বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন কৃষকরা।
গ্রামে ফেরার পথে গ্রামগুলি বীরের সম্বর্ধনা পেলেন কৃষকরা। ফুল ও মিষ্টি দিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে তাঁদের।
৩৮০ দিন আগে দাবি আদায়ের সংকল্প নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। ফিরছেন জয়ের বার্তা নিয়ে। দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করে।
দিল্লি ও আম্বালা ও অন্যান্য রাজ্য সড়কগুলিতে গ্রামবাসীরা গাঁদাফুলের মালা, লাড্ডু ও বরফির মতো মিষ্টি দিয়ে আন্দোলনকারীদের স্বাগত জানান।
পঞ্জাবে শাম্ভু, খানৌরি ও ডাবওয়ালি দিয়ে প্রবেশের সময় তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়। ঢোল বাজিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান গ্রামবাসীরা।
ত্রিপল, গৃহস্থালির অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে আন্দোলনকারীরা ট্রাক্টরে, খোলা গাড়িতে ফিরছেন।
বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, গাজিপুর প্রতিবাদ স্থল কৃষকরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালি করে দেবেন। শনিবারই প্রথম উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের দিকে রওনা দিয়েছেন।
দিল্লির সীমানায় গতকালের আগে থেকেই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দেন কৃষকরা। খুলে ফেলা হয় অস্থায়ী তাঁবুগুলি। এতদিন এগুলিই ছিল আন্দোলনকারীদের বাসস্থান।
শনিবারই ফুল দিয়ে সাজানো ট্রাক্টরের সারিতে বিজয় গীত গাইতে গাইতে সিঙ্ঘু সীমানার ধর্ণাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন কৃষকরা।
আর এতদিনের আন্দোলনের জায়গা ছেড়ে যেতে অনেকেরই আবেগ বাধা মানছিল না। কিছু কৃষক হোমযজ্ঞও করেন। আবার কেউ কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাবের উদ্দেশ্য রওনা দেন।
পরিত্যক্ত চেহারা নয় এতদিনের আন্দোলনে জমজমাট স্থল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -