Pranab Mukherjee Birth Anniversary: কলেজে অধ্যাপনা থেকে রাইসিনা হিলস : জন্মদিনে ফিরে দেখা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জীবনের নানা কথা
ভারতীয় রাজনীতির অলিন্দে পরিচিত ছিলেন ট্রাবলশ্যুটার বা ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে। ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি চাণক্য। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি তিনি সামলে দিয়েছেন কূটনৈতিক বুদ্ধির জোরে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৩৫ এ আজকের দিনে জন্ম। আজ তাঁর ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী। রাজনীতিক হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্য়ায়কে মনে রাখার পাশপাশি তাঁর সম্পর্কে এই তথ্যগুলিও জানেন ঘনিষ্ঠজনরা।
বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। দেশকে স্বাধীন করতে জেলও খাটেন। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন তাঁর বাবা। মা রাজলক্ষ্মীদেবীই ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বেশি কাছের। আদর করে মা তাঁকে ডাকতেন পল্টু বলে!
কীর্ণাহার শিবচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল জীবনের পাঠ শুরু হয়েছিল তাঁর। এরপর সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। এরপর ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। ১৯৬৩ সালে আইন পাস। পড়াশোনা শেষ করেই কর্মজীবনে প্রবেশ। প্রথম জীবনে, ১৯৬৩ সালে কলেজে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। প্রায় ২ বছর অধ্যাপনা করা ছাড়াও, ‘দেশের ডাক‘ নামে একটি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
একসময় ধূমপান করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে সিগারেট নয়, তাঁর পছন্দ ছিল পাইপ। কালো রঙের ডানহিলের পাইপ ছিল তাঁর ট্রেডমার্ক। এমনকি সংসদে ধূমপায়ী সাংসদদের নিয়ে ‘স্মোকার্স ক্লাব’-ও তৈরি করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সংসদে ধূমপান নিষিদ্ধ হয়ে যায়। চিকিত্সকদের পরামর্শে ধূমপান ছেড়ে দেন প্রণবও।
বরাবর খাদ্যরসিক ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ছোট থেকেই মাঝের ঝোল আর ভাত ছিল তাঁর প্রিয়।খেতে তিনি কতটা ভালবাসতেন, তা নিয়ে একবার বলেছিলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, সকালের জলখাবার শেষ করেই মা-কে জিজ্ঞাসা করতাম দুপুরে কী রান্না করেছ? আবার দুপুরে খাওয়ারের সময় জেনে নিতাম রাতের খাবারে কী হয়েছে!’
দিল্লির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন চাণক্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলেও তিনি দুর্গাপুজোর সময় হাজির থেকেছেন তাঁর কীর্ণাহারের বাড়িতে। নিজে হাতে পুজো করেছেন। সবাই তাঁর মন্ত্রোচ্চারণ শুনে অভিভূত হয়েছেন।
প্রথম জীবনে, ১৯৬৩ সালে কলেজে অধ্যাপনা করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এরপর ২০১৬। রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ ফুরনোর ঠিক এক বছর আগের শিক্ষকদিবসের অনুষ্ঠানে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ফের পাওয়া যায় শিক্ষকের ভূমিকায়। দিল্লির রাজেন্দ্র প্রসাদ সর্বোদয় বিদ্যালয়ে ক্লাস নেন তিনি। বিষয় ছিল, ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাস ও বিবর্তন।
শোনা যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় চিনা রাজনীতিক ডেং জিয়াওপিং দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর উদ্ধতির উল্লেখ করতেন।
প্রতিদিন প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করতেন তিনি। রাত জেগে কাজ করতে ভালবাসতেন তিনি। স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, আমি প্রতিদিন লনে ৪০ রাউন্ড হাঁটি। হিসেব করলে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।
৪০ বছর ধরে ডায়েরি লেখার অভ্যাস তাঁর। সারা দিনের নানা অভিজ্ঞতা নথিবদ্ধ রাখতেন তিনি। উদার অর্থনীতির যুগের আগে ও পরেও তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। এই রেকর্ড অন্য কারও নেই।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি আফজল গুরু ও আজমল কাসভ সহ ৭ টি মার্সি পিটিশন ফিরিয়ে দেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -