Cyclone Yaas Destruction বিধ্বংসী ইয়াস, চোখের নিমেষে সব লণ্ডভণ্ড...
বিধ্বংসী ঘূর্ণিপাক। চোখের নিমেষে সব লণ্ডভণ্ড। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের মুখে যেন তাসের ঘর। কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল কাকভোর থেকে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই, সকাল সোওয়া ৯টার সময় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে, ভদ্রক জেলার ধামড়ায় আছড়ে পড়ে সাইক্লোন ইয়াস। অ্যানিমোমিটারের কাঁটা তখন ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। (ছবি সৌজন্য - এএফপি)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রকৃতি রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে যে, কী বীভত্স চেহারা নেয়, তা যেন আরও একবার হাতেকলমে দেখিয়ে দিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগে প্রবেশের সময়, এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ওড়িশার বালেশ্বর, ধামড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার, সকাল সোয়া ন’টায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। (ছবি সৌজন্য - এএফপি)
ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব। অঝোরে বৃষ্টি। একেরপর এক গ্রাম ভেসে গেল জলে। বুক কাঁপানো এই ছবি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল পয়েন্ট বালেশ্বরের। পূর্বাভাস ছিলই। আতঙ্কের রাত কাটিয়ে বুধবার সবেমাত্র সকাল হয়েছিল ওড়িশার উপকূলবর্তী এই জেলায়। সকাল নটা নাগাদ সেই বালেশ্বরেই ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে ইয়াস। (ছবি সৌজন্য - এএফপি)
ল্যান্ডফলের পর থেকে তিনঘণ্টা ধরে চলা তাণ্ডবের পর সুন্দর সাজানো গোছানো জনপদের চেহারাটাই যেন একপ্রকার বদলে দিয়েছে ইয়াস। জেলা বাকি অংশের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাকেই সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও, কিছু মানুষ এই দুর্যোগের মধ্যেও ভিটেমাটি আকড়ে পড়ে রয়েছেন। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তখন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় একশো তিরিশ থেকে একশো চল্লিশ কিলোমিটার। একদিকে ঘূর্ণিঝড়, অন্যদিকে কটাল। দু’য়ের প্রভাবে ভয়ঙ্কর চেহারে নেয় জলস্ফীতি। বাঁধ টপকে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। বেশ কয়েক ফুট জলের তলায় চলে যায় ক্ষেত। জল ঢোকে বাড়িতেও। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে ল্যান্ডফল। একদিকে ঝোড়ো হাওয়া, অন্যদিকে, বৃষ্টি। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর করে তোলে। জলোচ্ছ্বাস একটাই বেশি ছিল যে, ভেসে যায় ভদ্রক থেকে ধামড়া যাওয়ার রাস্তার একাংশ। যতদূর চোখ যায়, শুধুই জল আর জল। তার মাঝ দিয়ে, মাথা তুলে দাঁড়িয়ে নারকেল গাছ। জলের তোড়ে ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
ভদ্রক থেকে ধামড়া যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় ভেঙেছে রাস্তা। ধামড়া বন্দর সংলগ্ন গ্রাম। এখানেই ধসে গেছে রাস্তা। কার্যত দ্বীপে পরিণত হয়েছে ধামড়া।(ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে সকাল থেকে এমনই ধ্বংসলীলার ছবি দেখা গেল দিঘায়। বোল্ডারের দেওয়াল ছাপিয়ে গেল জলোচ্ছ্বাস। প্রলয়ের দাপটে নারকেল গাছের মাথা ছুঁল সমুদ্রের ঢেউ। জলের তোড়ে খেলনার মতো ভেসে গেল গাড়ি, বাইক। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
বালেশ্বর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে দিঘায়। সকাল থেকেই অবশ্য উত্তাল হতে শুরু করে দিঘার সমুদ্র। বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার তেজ এতটাই ছিল যে, হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। সময় যত এগোয়, ততই রুদ্রমূর্তি ধারণ করে প্রকৃতি। সমুদ্রতটের কাছে পৌঁছে দেখা যায় হু হু করে জল ঢুকছে দিঘা শহরে। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
বোল্ডার ছাপিয়ে চলে আসে সমুদ্রের জল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা চলে যায় জলের নীচে। রাস্তাঘাটই কার্যত সমুদ্রের চেহারা নেয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির অর্ধেকই জলে ডুবে যায়। প্রায় জলে ডুবে যাওয়া বাইক ঠেলে ঠেলে নিয়ে আসতে দেখা যায় কয়েকজনকে। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)
বিভিন্ন জায়গায় এনডিআরএফ-এর দল পৌঁছে যায়। জল বার করার জন্য বেশ কিছু নির্মাণও ভেঙে ফেলা হয়। বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের বার করে আনতে টহল দিতে শুরু করে তারা। প্রায় চার ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় থামলেও, তার ঝাপটায় বাঙালির প্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট, সাজানো গোছানে দিঘা এখন তছনছ। ভিটেহারা বহু মানুষ। যাদের সম্বল এখন শুধুই অসহায়তা। (ছবি সৌজন্য - পিটিআই)ত
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -