Bengaluru Waterlogged: অতিবৃষ্টিতে নাকাল অবস্থা, জল থৈ থৈ প্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর
কখন বর্ষা এল, কখনই বা গেল, ভেবে কুল পাচ্ছেন না বঙ্গবাসী। কিন্তু একটানা ভারী বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ প্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরু। ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাটের বেশিরভাগই জলের তলায় চলে গিয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appলাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরেই এমন অবস্থা বেঙ্গালুরুর। গত তিন দিন ধরে জলমগ্ন সেখানকার রাস্তাঘাট। এর জন্য প্রশাসনকেই দুষছেন সাধারণ মানুষ। ইঁট গেঁথে একের পর এক নির্মাণ তুলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বুজে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনেও জলমগ্ন শহরের অধিকাংশ এলাকা। যান চলাচল প্রায় থমকে গিয়েছে সেখানে। জল ঠেলে কোনও রকমে দু’একটি বাস, গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এমন অবস্থা হল বেঙ্গালুরুর। কাজে যেতে কেউ কেউ ট্র্যাক্টরকে ভরসা করছেন। কোথাও কোথাও ক্রেন নেমেছে। তাতে চেপই লোকজন পৌঁছচ্ছেন অফিস।
এরই মধ্যে জলমগ্ন রাস্তায় বেরিয়ে সোমবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। স্কুলে চাকরি করতেন ওই ২৩ বছরের তরুণী অখিলা। স্কুটিতে চেপে বাডি় ফিরছিলেন। চাকা পিছলে গেলে বিদ্যুতের খুঁটি ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তখনই বিপত্তি ঘটে।
এতেই প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি নিকাশি পরিকল্পনা ছাড়াই নগরায়ন বেড়ে চলেছে। বেঙ্গালুরু পৌরসভার দাবি, ৫০০ নিকাশি খালও বেদখল হয়ে গিয়েছে। তাতে জল বেরনোর উপায় নেই।
তবে এই পরিস্থিতিতে পূর্বতন সরকারকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাই। কংগ্রেস-জেডিএস আমলে পরিকল্পনাহীন নির্মাণের জন্যই এমন অবস্থা বলে দাবি তাঁর।
বাসবরাজ জানিয়েছেন, জল বার করতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নিকাশি খাল দখলমুক্ত করতে আরও ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে তাঁর সরকার। আগামী দিনে নিকাশি খালগুলি যাতে বেদখল না হয়, সেদিকে তাঁর সরকার নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন বাসবরাজ।
তবে সরকার যা-ই বলুক না কেন, বেঙ্গালুরুবাসী এই মুহূর্তে চরম সঙ্কটে। একাধিক জায়গায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ঘাটতি দেখা দিয়েছে পানীয় জল সরবরাহেও। মান্ডিয়ায় পাম্পহাউসেও জল ঢুকে গিয়েছে বলে খবর। আপাতত ৮ হাজার কুয়ো থেকে জল সরবারাহের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে সরকার। ট্যাঙ্কারে চাপয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে।
এখনও পর্যন্ত বেঙ্গালুরু শহরে ৪৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ১৮৮টি বাড়ি। ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা, সেতু জলের তলায়। বিদ্যপতের খুঁটিও উপড়ে পড়েছে একাধিক জায়গায়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় দলের বেঙ্গালুরু পৌঁছনোর কথা।
তবে এখনই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি নেই। কারণ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আগামী চারদিন কর্নাটকের উত্তর-দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত সপ্তাহেই ১৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। গত পাঁচ দিনে বৃষ্টি হয়েছে ৫১ শতাংশ অতিরিক্ত। গত ৪২ বছরে এই পরিমাণ বৃষ্টি দেখেনি কর্নাটক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -